চন্দ্রযান 3 :: কবে পাড়ি দেবে ? || এর কাজ কি ? || এর বৈশিষ্ট্য || চাঁদের বুকে কবে ল্যান্ড করবে || আরও অন্যান্য তথ্য
ইতিমধ্যে চন্দ্রযান ৩ হল চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের জন্য ভারতের তৃতীয় প্রচেষ্টা। চন্দ্রযান ৩ এর পূর্বে চন্দ্রযান ১ ও চন্দ্রযান ২ চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল। সফ্ট ল্যান্ডিংয়ে অসুবিধার কারণে চন্দ্রযান ২ মিশনের ল্যান্ডার বিক্রম ল্যান্ড করতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে নতুন করে, নতুন প্রচেষ্টায় চন্দ্রযান ৩ মিশন শুরু করা হয়েছে। যে যানটি পাড়ি দেবার জন্য প্রস্তুত।
চন্দ্রযান ৩ একটি দেশীয় ল্যান্ডার মডিউল (LM), একটি প্রপালশন মডিউল (PM) এবং একটি রোভার নিয়ে গঠিত যা আন্তঃগ্রহের মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন প্রযুক্তি বিকাশ ও প্রদর্শনের লক্ষ্যে রয়েছে। ISRO প্রধান এস সোমনাথ বলেছেন যে, চন্দ্রযান ৩ মিশনটিকে পুরোপুরিভাবে চন্দ্রযান ২ এর মতো করা হয়েছে। এমনকি চন্দ্রযান ২ এর পথ ধরেই পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। কারণ এই পথটি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য মহাকাশ বিজ্ঞানীদের জানা রয়েছে।
ISRO বলেছে, একটি নির্দিষ্ট চন্দ্র পৃষ্ঠে এই ল্যান্ডারের সফট ল্যান্ড করার ক্ষমতা থাকবে এবং রোভার মোতায়েন করবে যা তার গতিশীলতার সময় চন্দ্র পৃষ্ঠের ইন-সিটু রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে তথ্য পাঠাবে।
চন্দ্রযান ৩ কবে পাড়ি দেবে ?
ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ তিনি জানান, ইতিমধ্যেই স্যাটেলাইটটি ইউ আর স্যাটেলাইট সেন্টার থেকে সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে, জুন মসের মধ্যে এই যানের সমস্থ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে এবং সব কিছু ঠিক থাকলে, ১২ই জুলাই থেকে ১৯শে জুলাইয়ের মধ্যে মিশনটি চালু করার চেষ্টা করবে এমনটাই জানানো হয়েছিলো ISRO থেকে।
এখন সেই চূড়ান্ত পর্যায়ের দিন এবং সময় এসে উপস্থিত হয়েছে সমস্থ ভারতবাসীর কাছে। গত ৫ই জুলাই ISRO একটি টুইট করে সমস্থ ভারবাসীকে জানিয়ে দেয় যে আগামী ১৪ই জুলাই ২০২৩ ( শুক্রবার) দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ভারতের বৃহত্তম রকেট চন্দ্রযান ৩
চন্দ্রযান ৩ এর কাজ কি ?
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ (LVM-3) এর মাধ্যমে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দিকে পাঠানো হবে এমনটাই পরিকল্পনা রয়েছে৷ চাঁদে নতুন রোভার পাঠানোর উদ্দেশ্যেই চন্দ্রযান ৩ মিশনটি শুরু হয়েছে। রোভারের চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদে অবতরণ করার ক্ষমতা প্রদর্শন করা এবং কক্ষপথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা এবং সেই তথ্যগুলি ISRO-কে পাঠানো।
চন্দ্রযান ৩ এর বৈশিষ্ট্য -
অত্যাধুনিক টেকনলেজি যুক্ত এই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর মোট ওজন ৩ হাজার ৯০০ কেজি অর্থাৎ, প্রায় ৪ টনের কাছাকাছি। যার মধ্যে শুধু প্রোপালশান মডিউলটির ওজন ২ হাজার ১৪৮ কেজি, রোভার (প্রজ্ঞান) এর ওজন ১ হাজার ৭৫২ কেজি এবং ল্যান্ডার মডিউল (বিক্রম) এর ওজন ২৬ কেজি।
যেখানে প্রপালশন মডিউল: 758W, ল্যান্ডার মডিউল: 738W, বায়াস রোভারের সাথে WS: 50W শক্তি প্রভাইট করবে বলে এমনটাই জানিয়েছেন ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ।
কবে চাঁদের বুকে ল্যান্ড করবে চন্দ্রযান ৩
শুধুমাত্র উৎক্ষেপণ নয়, একেবারে সম্ভাব্য ল্যান্ডিংয়ের দিনক্ষণও ঘোষণা করেছে ইসরো অর্থাৎ, চাঁদের মাটি কখন ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’ তাও জানিয়ে দিয়েছে ইসরো। সংস্থার চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানান, ২৩শে অথবা ২৪শে অগাস্ট চাঁদের মাটিতে নিরাপদে চন্দ্রযানটিকে অবতরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
‘চন্দ্রযান ৩’ চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অনুসন্ধান চালাবে। চাঁদের ভূতাত্বিক অনুসন্ধান করা হবে চাঁদের কিছু বিশেষ জায়গায় থার্মোফিজিক্যাল পদার্থ অনুসন্ধান, ল্যান্ডিং সাইটের আশেপাশে চন্দ্রের ভূমিকম্প, চন্দ্র পৃষ্ঠের প্লাজমা পরিবেশ এবং মৌলিক রচনা সংক্রান্ত কিছু তথ্যের সন্ধানে চলছে এই সাম্প্রতিক অভিযান।
আরও পড়ুন- পরিবর্তন হচ্ছে ANM GNM পরীক্ষার তারিখ
আরও পড়ুন- নতুন করে আধার কার্ড আপডেট
No comments:
Post a Comment