Breaking




Thursday 12 August 2021

নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ । Landforms caused by river erosion.

 নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ

 
নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
বন্ধুগন,
 আজকে আমরা পড়বো নদীর কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ সম্পর্কে । যেটা আমাদের বাস্তব জ্ঞান বৃদ্ধিতে এবং যাতে আমরা ছোটোদের বিষয়টি ভালোভাবে বুঝাতে পারি । 
       সুতরাং আর কোনো রকম সময় নষ্ট না করে , শিখে নেওয়া যাক নদীর কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলির সম্পর্কে । 
 নদীর কাজ 
 নদী তার উপত্যকায় ক্ষয় , বহন , ও সঞ্চয়কাজের মাধ্যমে ভুমিরুপের পরিবর্তন ঘটায় । 
ক্ষয়কাজ ঃ পার্বত্য অঞ্চলে ভুমির ঢাল বেশি এবং ভূমিরূপ খুব বন্ধুর প্রকৃতির হয় , তাই সেখানে নদীর জলস্রোতের বেগ খুব প্রবল হয় । নদী প্রস্তরখণ্ডকে ক্ষয় করে চূর্ণবিচূর্ণ এবং স্থানচ্যুত করে , একেই নদীর ক্ষয়কাজ বলে । নদী সাধারনত ৬ ভাবে ক্ষয়কাজ চালায় । (১) জলপ্রবাহ ক্ষয় (২) অবঘর্ষ ক্ষয় (৩) সংঘর্ষ ক্ষয় (৪) ঘর্ষণ ক্ষয় (৫) বুদবুদ ক্ষয় (৬) দ্রবন ক্ষয় ।
বহনকাজঃ নদীর ক্ষয়কাজের ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থ অর্থাৎ প্রস্তরখণ্ড , নুড়ি , বালি , কাদা ইত্যাদি নদী তার জলস্রোতের দ্বারা একস্থান থেকে অন্যস্থানে বয়ে নিয়ে যায় , একে নদীর বহনকাজ বলা হয় ।
নদীর বহনকাজ প্রধানত ৪টি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয় । (১) দ্রবন প্রক্রিয়ায় বহন (২) ভাসমান প্রক্রিয়ায় বহন (৩) লম্ফদান প্রক্রিয়ায় বহন (৪) গড়ানো প্রক্রিয়ায় বহন ।
সঞ্ছয়কাজ ঃ নদীর গতিবেগ হ্রাস , গতিপথের ঢাল হ্রাস , বোঝার পরিমাপ বৃদ্ধি প্রভৃতি কারনে নদীর বহনহ ক্ষমতা হ্রাস পায় , ফলে নদীর বোঝা নদীর তলদেশে কিংবা উপত্যকার বিভিন্ন অংশে সঞ্চিত হয় , একে নদীর সঞ্চয় না অবক্ষেপণ বলা হয় ।   
নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
 নদী তার ক্ষয়কাজ সাধারণত  উচ্চগতি , মধ্যগতি ও নিম্নগতি এই তিনটি প্রক্রিয়ায় করে থাকে । আমরা এখন জানবো এই তিনটি গতির মাধ্যমে কি কি ভূমিরূপ সৃষ্টি করে থাকে ।
উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহে সৃষ্ট ভূমিরূপ ঃ নদীর উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহের ক্ষয়জাত ভূমিরূপ গুলি হল নিম্নরূপ -----
(১) V- আকৃতির উপত্যকা ঃ 
V- আকৃতির উপত্যকা
V- আকৃতির উপত্যকা
পার্বত্য প্রবাহে নদী প্রায় সর্বশক্তি দিয়ে নিম্নক্ষয় করে ও উপত্যকা গভীর হতে থাকে । নদী পার্শ্বক্ষয় খুব কম করে । এইসময় অধিক নিম্নক্ষয় ও সামান্য পার্শ্বক্ষয়ের ফলে নদী-উপত্যকা ইংরেজি অক্ষয় 'V'-এর মতো দেখতে হয়, একে 'V'-আকৃতির উপত্যকা বলে । অতি খাড়া ঢাল , আবহবিকার ও খরস্রোতা নদী 'V'-আকৃতির উপত্যকা গঠনে সহায়ক হয় । 
(২) গিরিখাত ও ক্যানিয়ন ঃ 
গিরিখাত ও ক্যানিয়ন
গিরিখাত ও ক্যানিয়ন
নদীর কেবল নিম্নক্ষয়ের ফলে যে গভীর ও অতি সংকীর্ণ নদী-উপত্যকা তৈরি হয় তাকে গিরিখাত বলে । যেমন- নেপাল হিমালয়ের কালি গণ্ডকী বা অন্ধ্যা গলচি
আবার সাধারণত পার্বত্য প্রবাহে নদী শুস্ক অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় পার্শ্বক্ষয়ের তুলনায় নিম্নক্ষয় বেশি করে থাকে , সেই কারনে নদী সেখানে অত্যন্ত গভীর , সংকীর্ণ ও দীর্ঘ নদি-উপত্যকার সৃষ্টি করে যা ইংরেজি 'I' আকৃতির মতো দেখতে হয় , এই ধরনের ভূমিরূপকে ক্যানিয়ন বলে। যেমন - কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন । 
(৩) জলপ্রপাত ঃ 
জলপ্রপাত
জলপ্রপাত
নদীর প্রবাহপথে ঢালের হঠাৎ পরিবর্তনের জন্য জলস্রোত খাড়া ঢাল বেয়ে ওপর থেকে নীচে প্রবল বেগে পড়ে , একে জলপ্রপাত বলে । জলপ্রপাত বিভিন্নভাবে সৃষ্টি হতে পারে সেই গুলি হল ----- 
 নদীর প্রবাহপথে পরপর কঠিন ও নরম শিলা অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে কঠিন শিলার নীচে নরম শিলা তাড়াতাড়ি ক্ষয় পেয়ে খাড়া ঢাল তৈরি করে ও জলপ্রপাত সৃষ্টি হয় । 
 নদীর প্রবাহপথে আড়াআড়ি চ্যুতি থাকলে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয় । ইন্দ্রাবতী নদীর চিত্রকোট (ভারতের নায়াগ্রা )।
 হিমবাহের ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্ট ঝুলন্ত উপত্যকার ওপর থেকে বরফগলা জল নীচে পড়ে জলপ্রপাত তৈরি করে ।
 নদীর পুরাতন ঢাল ও নতুন ঢালের মিলন বিন্দুকে নিক বিন্দু বলে । ঢালের বিচ্যুতির জন্য নিক বিন্দুতে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয় । যেমন - ভেনেজুয়েলার অ্যাঙ্গেল জলপ্রপাত পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত।                                                                                                                                             
(৪) খরস্রোতা ঃ 
খরস্রোতা
খরস্রোতা
নদীর গতিপথে কঠিন ও নরম শিলাস্তর পাশাপাশি উল্লম্বভাবে অবস্থান করলে কঠিন শিলা অপেক্ষা নরম শিলা বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং তার ফলে গতিপথের ওই অংশের ওপর দিয়ে নদীর জল ধাপে ধাপে নেমে এসে খরস্রোত বা র‍্যাপিডস সৃষ্টি করে । 
(৫) আবদ্ধ বা শৃঙ্খলিত শৈলশিরা ঃ 
শৃঙ্খলিত শৈলশিরা
শৃঙ্খলিত শৈলশিরা
পার্বত্য অংশে নদীর গতিপথে শৈলশিরা বা পাহাড় থাকলে তা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নদী এঁকে বেঁকে প্রবাহিত হয় এবং দূর থেকে দেখলে মনে হয় শৈলশিরাগুলি পরস্পর শৃঙ্খলের মতো আবদ্ধ রয়েছে । এই প্রকার ভূমিরূপকে আবদ্ধ বা শৃঙ্খলিত শৈলশিরা বলা হয় । হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে তিস্তা , মহানন্দা প্রভৃতি নদীর গতিপথে এরকম আবদ্ধ শৈলশিরা দেখা যায় ।
(৬) প্রপাতকূপ বা প্লাঙ্গপুল ঃ 
প্রপাতকূপ বা প্লাঙ্গপুল
প্রপাতকূপ বা প্লাঙ্গপুল
জলপ্রপাতের নীচে সৃষ্ট গর্তের মতো নিচু জায়গাকে প্রপাতকুপ বলা হয় । ওপর থেকে পড়া জলের চাপ ও জলের সাথে আসা নুরি-পাথরের অবঘর্ষ ক্ষয়ের ফলে প্রপাতকুপ সৃষ্টি হয় । চেরাপুঙ্গির নিকট নেহকালিকাই জলপ্রপাত ।
(৭) মন্থকূপ বা পটহোলঃ 
মন্থকূপ বা পটহোল
মন্থকূপ বা পটহোল
নদীর গতিপথে নরম শিলা অবস্থান করলে অবঘর্ষ পদ্ধতিতে শিলাখণ্ডের আঘাতে নদীগর্ভে গর্তের সৃষ্টি হয় । পরবর্তী সময়ে ওই গর্তের মধ্যে জলস্রোতের সঙ্গে পাক খওয়া নুড়ি ও পাথরের আঘাতে নদীর তলদেশের শিলায় ছোটো বড়ো গোলাকার গর্ত সৃষ্টি হয় , একে মন্থকূপ  বলে । অসংখ্য মন্থকূপ বা পটহোল একসঙ্গে গড়ে উঠলে তাকে পটহোল কলোনি বলে । 
মধ্য ও নিম্নগতিতে সৃষ্ট সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ ঃ 
 উভয় গতিতে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রকার ভুমিরুপগুলি হল-- পলল শঙ্কু ও পলি ব্যজনী , নদী বাঁক , অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ , প্লাবনভুমি ও স্বাভাবিক বাঁধ , নদীচর এবং নদী বদ্বীপ প্রভৃতি ।
(১) পলল শঙ্কু ও পলি ব্যজনীঃ 
পলল শঙ্কু ও পলি ব্যজনী
পলল শঙ্কু ও পলি ব্যজনী
মধ্যগতির শুরুতে নদী যখন পার্বত্য প্রবাহ ছেড়ে সমভুমিতে প্রবেশ করে , তখন নদী উপত্যকার ঢাল হঠাৎ কমে যাওয়ায় নদীবাহিত পলিরাশি , নুড়ি পর্বতের পাদদেশে শঙ্কু বা ত্রিভুজ আকারে সঞ্চিত হয়ে পলল শঙ্কু গঠন করে । অনেকগুলি পলল শঙ্কু জুড়ে গিয়ে বিস্তার লাভ করলে এটি অর্ধগোলাকার হাতপাখার মতো দেখতে হয় , একে বলে পলল ব্যজনী ।
সৃষ্টির কারন- পর্বতের পাদদেশে ভুমির ঢালের হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে নদীর বহনক্ষমতা কমে যায় এবং সমস্ত ক্ষয়জাত পদার্থ পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে এই প্রকার ভূমিরূপ সৃষ্টি করে ।
(২) নদীবাঁক বা মিয়েন্ডার ঃ 
নদীবাঁক বা মিয়েন্ডার
নদীবাঁক বা মিয়েন্ডার
মধ্য ও নিম্নপ্রবাহে নদীর গতিবেগ কম থাকে । ফলে প্রবাহ পথে জলধারা বাধাপ্রাপ্ত হলে সেই বাধা এড়ানোর জন্য নদী গতিপথের পরিবর্তন ঘটায় এবং এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয় । নদীর এই আঁকাবাঁকা অংশকে নদি-বাঁক বলে । তখন নদী বাঁকের এক অর্ধাংশ বাকি অর্ধাংশের মত দেখতে হয় । তুরস্কের মিয়েন্ডারেস নদীর নামানুসারে এই ভূমিরূপের নাম হয়েছে মিয়েন্ডার । নদীবাঁকের ভিতরের অংশে নদীর খাড়া পাড় তৈরি হয় । আবার , বাইরের অংশে জলের পরিমাণ ও স্রোত কম থাকে । ফলে নদীর ওই অংশে পলি জমে মৃদু ঢালযুক্ত নদীপাড় গড়ে ওঠে , একে Slip-off slope বলে । এই পাড়ের সঞ্চয়কে বিন্দুবার বলে ।
নদীবাঁক- ভূভাগের পুনযৌবন ঘটলে নদীর ক্ষয় করার শক্তি খুব বেড়ে যায় । নদী তখন খাতেকে গভীরভাবে কেটে আরও নীচের দিকে  বসে যায় । এতে নদীবাঁকের দুইপাড় খাড়া হয় । এ ধরনের নদীবাঁককে কর্তিত নদীবাঁক বলে ।
(৩) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ ঃ 
অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ
অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ
সমভূমিতে নদী কখনো-কখনো তার বাঁক গতিপথ ত্যাগ করে সোজাপথে প্রবাহিত হয় । কালক্রমে পরিত্যক্ত স্রোতহীন বাঁকা নদীখাতটির দুই মুখ বালি , পলি , কাদা প্রভৃতি জমা হয় এবং মূল নদীখাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হ্রদরূপে অবস্থান করে । এ ধরনের হ্রদ ঘোড়ার ক্ষুরের মতো দেখতে হওয়ায় এদের অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে ।
সৃষ্টির কারন
 নদীবাঁকের অবতল অংশে ক্রমাগত জলস্রোতের ধাক্কায় বেশি পরিমানে ক্ষয় হয় এবং সেই সঙ্গে উত্তল অংশে পলি সঞ্চয়ের ফলে নদীবাঁকের অত্যধিক বৃদ্ধি ঘটে ।
 একসময় বাঁকের দুই মুখ পরস্পরের খুব কাছে চলে আসে , এদের মাঝখানে অবস্থিত সরু একফালি ভুমি ক্ষয়প্রাপ্ত হলে অবশেষে এরা জুড়ে যায় । নদী তখন বাঁক পথ ছেড়ে সোজা পথে বইতে থাকে ।
 পরিত্যক্ত স্রোতহীন বাঁক নদীখাতের দুই মুখ কালক্রমে বালি , পলি , কাদায় বুজে গিয়ে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি করে ।
(৪) প্লাবনভুমি ঃ 
প্লাবনভুমি
প্লাবনভুমি
নিম্নপ্রবাহে নদীপাড় থেকে উপত্যকার শেষসীমা পর্যন্ত বন্যার পলি জমে যে সুবিস্তৃত সমভূমি গঠিত হয় , তাকে প্লাবনভুমি বা প্লাবন সমভূমি বলে । 
সৃষ্টির কারন - মধ্যপ্রদেশে নদীতে জলস্রোত কম থাকায় পলি জমে জমে নদীগর্ভে ভরাট ও অগভীর হয় । এতে নদীর জলধারনক্ষমতা কমে যায় । বন্যার সময় নদী প্রচুর পরিমানে পলি বয়ে আনে । তখন অতিরিক্ত জল দুকূল উপচে উপত্যকাকে প্লাবিত করে । কিছুদিন পর পলি থিতিয়ে গিয়ে পলির মোটা স্তর তৈরি করে । এভাবে উপত্যকা ক্রমাগত বন্যার পলি দিয়ে ভরাট হয়ে প্লাবনভুমির সৃষ্টি করে । 
(৫) স্বাভাবিক বাঁধ ঃ 
স্বাভাবিক বাঁধ
স্বাভাবিক বাঁধ
নদীর দুই তীরে ক্রমাগত পলি জমে যে উঁচু বাঁধের মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে স্বাভাবিক বাঁধ বা লিভি বলে ।
সৃষ্টির কারন - বর্ষার সময় নদীতে প্রচুর পরিমানে পলি আসে । দুকূল উপচে জল প্লাবনভুমিতে ছড়িয়ে পড়লে বড়ো দানার পলিসমুহ নদীপাড়ের কাছেই দ্রুত থিতিয়ে পড়ে , বেশি দূর ছড়িয়ে যেতে পারে না । এভাবে পলি জমে জমে উঁচু হয়ে এক সময় নদীপাড় বরাবর বাঁধ তৈরি হয় ।
(৬) খাঁড়ি বা প্রশান্ত মোহনা ঃ 
খাঁড়ি বা প্রশান্ত মোহনা
খাঁড়ি বা প্রশান্ত মোহনা
নদীর মোহানা অংশে সমুদ্রের সঙ্গে সংযোগকারী যেসব ফানেল আকৃতির নদীখাত সৃষ্টি হয় তাকে খাঁড়ি বলে । এসব খাঁড়ি দিয়ে নদীর জল সমুদ্রে যায় ও জোয়ারের নোনাজল নদীতে ঢেকে খাঁড়িগুলি সমুদ্রের দিকে ক্রমশ চওড়া হয় । সুন্দরবনের দুর্গাদুয়ানি খাঁড়ি উল্লেখযোগ্য ।
(৭) বদ্বীপ ঃ 
বদ্বীপ
বদ্বীপ
নদী যখন প্রবাহের শেষে অবস্থায় শাখাপ্রশাখায় ভাগ হয়ে সাগর বা হ্রদে মিলিত হয় তখন মোহানায় দীর্ঘদিন ধরে পলি জমতে জমতে বাংলায় মাত্রাহীন ''△'' (ডেল্টা) -এর মতো যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাকে বদ্বীপ বলে । গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ ।
বিভিন্ন আকৃতির বদ্বীপ গঠন - বেশিরভাগ বদ্বীপই ত্রিকোণমিতির মতো হয় , তবে আকৃতির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বদ্বীপকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় - 
▣ ধনুকাকৃতি বদ্বীপ ঃ
ধনুকাকৃতি বদ্বীপ
ধনুকাকৃতি বদ্বীপ
▣ তীক্ষ্ণাগ্র বদ্বীপ বা করাতের দাঁতের মতো বদ্বীপ ঃ
তীক্ষ্ণাগ্র বদ্বীপ বা করাতের দাঁতের মতো বদ্বীপ
তীক্ষ্ণাগ্র বদ্বীপ বা করাতের দাঁতের মতো বদ্বীপ
▣ পাখির পা-এর মতো বদ্বীপ ঃ 
পাখির পা-এর মতো বদ্বীপ
পাখির পা-এর মতো বদ্বীপ

        তাহলে বন্ধুরা আজকে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানলাম নদীর কাজের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন ভূমিরূপ গুলি সম্পর্কে।আশাকরছি তোমরা খুব সুন্দর ভাবেই বিষয়টি বুঝতে পেরেছো,যদি কোনো মতামত জানানোর থাকে অবশ্যই জানাবে এবং এই সমস্ত পোস্ট গুলি সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম ও Whatsapp গ্রুপে যুক্ত হয়ে যাও যার লিঙ্ক সাইটের উপরের দিকে দেওয়া আছে । ধন্যবাদ , তোমার দিনটি শুভ হোক ।

1 comment: