Breaking




Wednesday, 24 January 2024

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা সাজানোর টিপস, একনজরে দেখে নিন

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা সাজানোর টিপস, একনজরে দেখে নিন

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা সাজানোর টিপস
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা সাজানোর টিপস
আমরা সকলেই জানি যে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে ২রা ফেব্রুয়ারি, শেষ হবে ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৬ই ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হবে ২৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে। আমরা আশা করছি সকল পরীক্ষার্থীর প্রস্তুতি একদম শেষ পর্যায়ে, এবার শুধু প্রশ্নপত্র পাওয়ার এবং উত্তর লেখার অপেক্ষা।
এখন বিষয় হচ্ছে গত কয়েকদিন আগে পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে যেখানে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ের পরিবর্তন করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে -

  • মাধ্যমিক পরীক্ষা যেটা হবার কথা ছিল, সকাল ১১.৪৫ থেকে বিকাল ৩.০০ পর্যন্ত সেটা আগিয়ে নিয়ে এসে নতুন সময় করা হয়েছে, সকাল ৯.৪৫ থেকে দুপুর ১.০০ পর্যন্ত। 
  • উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা যেটা হবার কথা ছিল, দুপুর ১২.০০ থেকে বিকাল ৩.০০ পর্যন্ত সেটা আগিয়ে নিয়ে এসে নতুন সময় করা হয়েছে, সকাল ৯.৪৫ থেকে দুপুর ১.০০ পর্যন্ত। 

অর্থাৎ এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে, যেটা ছাত্রছাত্রীদের জন্য কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। 

পরীক্ষার হলে কি কি নিয়ে যাবে-
  1. এডমিট কার্ড
  2. রেজিস্ট্রেশন কার্ড
  3. কালো কালির পেন
  4. পেনসিল
  5. জ্যামিতি বক্স
  6. স্কুলের ইডি কার্ড (যদি থাকে)

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা সাজানোর টিপস

উত্তরপত্র দেওয়ার পরই অনেক পরীক্ষার্থী একটি কমন ভুল করে থাকে তাড়াহুড়ো করে জানা প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করে দেয়, কিন্তু এটি করলে চলবে না।

প্রথমঃ পরীক্ষার্থীদের খেয়াল রাখতে হবে উত্তরপত্র হাতে পাওয়ার পর সর্বপ্রথম সঠিকভাবে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, কোন বিষয়ে পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয় গুলিকে খুব সুন্দর ভাবে এবং নির্ভুল ভাবে লিখতে হবে।

দ্বিতীয়ঃ পরীক্ষার্থীদের কাছে এই ধাপটিও গুরুত্বপূর্ণ, এখনই উত্তর লেখা শুরু করা যাবে না কারণ রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর লেখার পর উত্তরপত্রের প্রতিটি পৃষ্ঠায় স্কেল বসিয়ে সঠিকভাবে মার্জিন কেটে নেওয়া জরুরি।

তৃতীয়ঃ অনেক পরীক্ষার্থী খাতার পাস মুড়ে উত্তর লেখা শুরু করে, এটা নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সমান মাপে সুন্দরভাবে প্রতিটি পৃষ্ঠায় পেনসিল দিয়ে মার্জিন কেটে নেওয়াটাই ভাল। এতে যেমন খাতাকে অনেক পরিচ্ছন্ন দেখায় তেমনই উত্তরের মার্কিং করতে সুবিধা হয়।

চতুর্থঃ এবার উত্তর লেখা শুরুর পালা, আমার জানা প্রশ্ন পড়েছে তাই তাড়াতাড়ি করে লিখে গেলাম তা করলে হবে না। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করার আগে ভালভাবে সেই প্রশ্নটা কত দাগের বা কত নম্বরের সেটা খাতার বাম পাশে মার্জিনের ওপারে লিখতে হবে, এমনকি পার্ট প্রশ্নের উত্তর করলেও তার দাগ নম্বর সঠিকভাবে বসাতে হবে।

পঞ্চমঃ দুটি প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে পরিষ্কার ব্যবধান রাখতে হবে তাতে পরীক্ষকের খাতা দেখার সময় বুঝতে সুবিধা হয়। এছাড়া প্রাপ্ত নম্বর বসাতেও সুবিধা হয় পরীক্ষকের।

ষষ্ঠঃ অতিরিক্ত পাতা বা লুজ শিট নিলে অবশ্যই তাদের মাথায় লুজ শিট নম্বর এবং রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর বসাতে হবে। লুজ শিটে উত্তর লেখা শুরুর আগে এই কাজগুলি করে ফেলাটা বেশি জরুরি।

সপ্তমঃ মূল বিষয় হচ্ছে তোমাদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে উত্তরপত্রকে কোনোভাবেই অপরিচ্ছন্ন করলে চলবে না।


No comments:

Post a Comment