Breaking




Saturday, 30 November 2024

বাংলার বিভিন্ন তপশীলি জাতি ও উপজাতি || Scheduled castes and tribes of Bengal

বাংলার বিভিন্ন তপশীলি জাতি ও উপজাতি || Scheduled castes and tribes of Bengal

বাংলার বিভিন্ন তপশীলি জাতি ও উপজাতি
বাংলার বিভিন্ন তপশীলি জাতি ও উপজাতি
বন্ধুগন,
আজকে আমরা আলোচনা করবো পশ্চিমবঙ্গ তথা বাংলার তপশীলি জাতি ও উপজাতি দের সম্পর্কে। আমরা জানবো তপশীলি জাতি ও উপজাতিদের অবস্থান,তাদের পেশা,পোশাক ইত্যাদি সম্পর্কে। আজকেই এই পোস্টটি তোমাদের যেমন আগত সমস্থ চাকরীর পরীক্ষা গুলির জন্য কাজে আসবে তারপাশাপাশি তোমাদের এই তপশীলি জাতি উপজাতি সম্পর্কে একটি সুন্দর ধারনা তৈরি করতেও সাহায্য করবে।
সুতরাং আর সময় নষ্ট না করে জেনে নেওয়া যাক বাংলার  তপশীলি জাতি ও উপজাতি দের সম্পর্কে।

 তপশীলি জাতি ও উপজাতি
 আমরা প্রথমে তপশীলি জাতি এবং পড়ে তপশীলি উপজাতি দের সম্পর্কে জানবো।
 তপশীলি জাতি 

 রাজবংশী জাতি ঃ
 পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলার সমতল অঞ্চলে, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিন দিনাজপুর ও সালদা জেলার কিছু অংশে বাংলা ভাষাভাষির একটি জাতিগোষ্ঠী বসবাস করেন। 
 এদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবগুলো হলো , পাঁচকন্যা পূজা, বিষহরি পূজা, বেষমা পূজা, খরা-অনাবৃষ্টি কাটাতে হুদুমা পূজা, ব্যাঙ্গের বিয়ে প্রভৃতি।
 এদের ভাষা হল ''কামতাপুরী'' বা ''রাজবংশী ভাষা''। এদের ভাওয়াইয়া সংগীত ভারতবর্ষের অন্যতম সুনামধন্য সংগীত। 
 এদের প্রধান পেশা কৃষি। এদের মধ্যে মৎসজীবীও রয়েছে।

 নমঃশূদ্র জাতি ঃ
 এই গোষ্ঠীর বিস্তার মূলত ,  ভারতএর পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ।
 এরা সাধারণত হীরা, বালা বিশ্বাস, মণ্ডল, হালদার, হাওলাদার, সরকার, সিকদার, মজুমদার, দাস, রায় ইত্যাদি পদবি ব্যবহার করে।
 নমঃ ক্ষুদ্র জাতিকে ‘চণ্ডাল জাতি’নামে আখ্যত করা হয়। 

☞ জালিয়া কৈবর্ত‍্য জাতি ঃ
 এরা মূলত আসাম, উত্তর পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও পূর্ব বিহার এবং এর সাথে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেই এদের উৎপত্তি এবং বসবাস।
 জালিয়া কৈবর্ত‍্য  হচ্ছে একটি আদিবাসী উপজাতি যা পরবর্তীতে সংস্কৃতায়নের মাধ্যমে হিন্দু বর্ণ বা সম্প্রদায়ে রূপান্তরিত হয়।
 এদের প্রধান পেশা মাছ ধরা

 বাগদি জাতি ঃ
 বাগদি (বর্গক্ষত্রিয়) একপ্রকার হিন্দু তফসিলি জাতিবিশেষ।
 পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের বাঁকুড়া, বীরভূম ইত্যাদি জেলায় প্রচুর সংখ্যায় বাগদিরা বাস করেন।
 এদের ভাষা বাংলা।
 এরা সাধারণত পেশায় জেলে এবং ভুমিহীন কৃষিশ্রমিক হয়ে থাকে।
তপশীলী উপজাতি

 সাঁওতাল উপজাতি ঃ
 দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ,নবাবগঞ্জ,বিরামপুর,ঘোড়াঘাট, ফুলবাড়ি, চিরিরবন্দর, কাহারোল এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জে সাঁওতালরা অধিক সংখ্যায় বাস করে।
 আদিকাল থেকেই কৃষিকে এরা প্রধান পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। 
 সাঁওতাল পুরুষরা আগে সাদা থান কাপড়ের ধুতি পরতেন। বর্তমানে পাঁঞ্চি, ধুতি, পায়ঞ্জামা, গামছা ব্যবহার করে। নারীরা ‘ফতা‘ নামের দুই খন্ডের কাপড় পরে থাকে। 
 ভাত সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য। মাছ, কাঁকড়া, শুকর, মোরগ, মুরগি,খরগোশর মাংস এদের খুবই প্রিয় খাবার।
 সাঁওতালি ভাষায় দেবতাকে বলে ‘বোংগা‘। এদের প্রধান দেবতা হচ্ছে সূর্যদেব। 'করম' হল এদের প্রধান উৎসব।

 খাসিয়া উপজাতি ঃ
 পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে।
 এরা সাধারণত কৃষিকাজ করে থাকে।
 ভাত ও মাছ তাদের প্রধান খাদ্য , তাদের মধ্যে কাঁচা সুপারি ও পান খাওয়ার প্রচলন খুব বেশি।
 এরা সাধারণত খাসিয়া ভাষায় কথা বলে থাকে।
 এদের প্রধান প্রধান উৎসব হল কর্মা , সোহরাই , সারহুল ইত্যাদি।
 
 ভুটিয়া উপজাতি ঃ
 এদের প্রথান ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম।
 এরা সাধারনত সিকিমী এবং নেপালী ভাষায় কথা বলে থাকে।
 এরা উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলা দারজিলিং এবং কালিংপঙ -এ বসবাস করে থাকে।
 চ্যাং এদের প্রধান সুধারস।
 
 মাগ উপজাতি ঃ
 এরা উত্তরবঙ্গে বসবাস করে , তাছাড়া এরা ত্রিপুরা রাজ্যে বসবাস করে, এছাড়াও ত্রিপুরা রাজ্যের স্থানীয় জনগণ তাদেরকে মগ বা মাঘ বলে ডাকে।
 বৌদ্ধ ধর্ম হল এদের প্রধান ধর্ম।
 ইয়েনপিউ হল এদের নাটক এবং জাটপিউ হল এদের নৃত্য।
 
 মুন্ডা উপজাতি ঃ
 ভারতের ঝাড়খণ্ড ও ছত্রিশগড় রাজ্যের ছোটনাগপুর অঞ্চল, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে এঁদের বাস। 
 মুন্ডা জনগোষ্ঠী যে ভাষায় কথা বলে, তার নাম মুন্ডারি।
 মুন্ডারা প্রাথমিক পর্যায়ে বন-জঙ্গল এবং চা শ্রমিক হিসাবে কাজ করলেও পরবর্তী পর্যায়ে তাদের পেশার পরিবর্তন লক্ষণীয়। তারা মাছধরা এবং ছোটখাট ব্যবসায় নিয়োজিত আছে।
 মুন্ডাদের ধর্মীয় দেবতার নাম সিং, বোঙ্গা বা সূর্য।
 মুন্ডাদের বিশেষ পছন্দের খাদ্য হচ্ছে ভাত, রুটি, কাঁচা ফল এবং অন্যান্য । তাদের খাদ্য তালিকায় ইদুর, শামুখ, কুচিয়া, কাকড়া ও বিদ্যমান।
 
 ওঁরাও উপজাতি ঃ 
 ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্য, ছত্রিশগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গে এঁদের বাস। 
 ওরাঁও রা যে ভাষায় কথা বলেন, তার নাম কুরুখ ভাষা। তাই এদেরকে কুরুখ জাতিও বলা হয়। 
 ওরাওঁদের প্রধান উৎসবের নাম কারাম।বর্তমানে তারা সনাতন ও খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করে।
 এদের প্রধান পেশা হল স্থানান্তর কৃষি।
 এরা সাদারনত কুরুখ ভাষায় কথোপকথন করে থাকে।
বাংলার বিভিন্ন তপশীলি জাতি ও উপজাতি PDF টি সংগ্রহ করতে নীচের Download Now-এ ক্লিক করুন

File Details :: 

File Name:  বাংলার বিভিন্ন তপশীলি জাতি ও উপজাতি

File Format:  PDF

No. of Pages:  04

File Size:  725 KB


No comments:

Post a Comment