Breaking




Wednesday 9 August 2023

পরিবেশের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক "পার্থেনিয়াম গাছ"- কি ক্ষতি করে? || সাবধানতা অবলম্বন || ধ্বংসের উপায়

পরিবেশের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক "পার্থেনিয়াম গাছ"- কি ক্ষতি করে? || সাবধানতা অবলম্বন || ধ্বংসের উপায়

পরিবেশের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক "পার্থেনিয়াম গাছ"
পরিবেশের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক "পার্থেনিয়াম গাছ"
নমস্কার বন্ধুরা,
তোমাদের জন্য আজকে আমরা যে পোস্টটি শেয়ার করতে চলেছি, সেই পোস্টটি পরিবেশ এবং নিজেদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য দারুন ভাবে কাজে আসবে। আমাদের বাড়ির চারপাশে কম বেশি এই পার্থেনিয়াম গাছ বা হাঁপানি গাছা লক্ষ্য করা যায়। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা এই গাছা আমাদের জন্য এবং পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতি কারক। এই গাছ থাকলে আমাদের প্রচুর পরিমানে ক্ষতি হবে। তাই তোমরা যারা এই গাছের ক্ষতিকারক দিক গুলি জানো না অবশ্যই নীচের প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে দেখে নাও। আমরা আজকের এই পোস্টটিতে এই পার্থেনিয়াম গাছ কি কি ক্ষতি করে, এই গাছ থেকে কি কি উপায়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং এই গাছ ধ্বংস করতে কি কি উপায় অবলম্বন করতে হবে। 

পার্থেনিয়াম - 'The Silent Killer'

"পার্থেনিয়াম/হাঁপানি গাছ" সূর্যমুখী উপজাতির উদ্ভিদ যার জন্ম মেক্সিকোতে কিন্তু বর্তমানে বাংলা তথা সারা ভারতের সর্বত্র ভয়ঙ্কর বিপদজনক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পার্থেনিয়াম গাছ বাঁচে তিন থেকে চার মাস। এই সময়ের মধ্যেই তিনবার ফুল ও বীজ দেয়। পার্থেনিয়ামের একটি গাছ ৪ থেকে ২৫ হাজার বীজের জন্ম দিতে পারে। এই বীজ এতই ছোট যে সাধারণত গবাদি পশুর গোবর, গাড়ির চাকার বা জুতোর তলার কাদামাটি, সেচের জল ও বাতাসের সঙ্গে এর বিস্তার ঘটে। 

ক্ষতিকারক দিক - পার্থেনিয়ামে রয়েছে Sesquiterpene Lactones নামক টক্সিন বা বিষ যা মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকর। 

পার্থেনিয়াম আগাছা ফসলি জমিতে থাকলে ফসলের উৎপাদন প্রায় চল্লিশ শতাংশ কমিয়ে দেয়। 

 পার্থেনিয়াম আগাছাযুক্ত মাঠে গবাদি পশু চরানো হলে পশুর শরীর ফুলে যায়, তীব্র জ্বর, বদহজমসহ নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। 

 পার্থেনিয়াম মানুষের হাতে-পায়ে লাগলে হাত-পা চুলকায়, লাল হয়ে যায় এবং পরে ত্বকের ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি ঘনঘন জ্বর, অসহ্য মাথাব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে পারে।

 ১০ মিটার দূর থেকে পার্থেনিয়ামের ফুলের রেণু মানুষের এলার্জি, হাঁপানি, চর্মরোগ, ব্রঙ্কাইটিস সৃষ্টি করতে পারে। 

 এই আগাছা ৭০ শতাংশ মানুষের চর্মরোগ, ৩০ শতাংশ মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ভারতের পুনেতে পার্থেনিয়ামজনিত বিষক্রিয়ায় এ পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছেন।

পার্থেনিয়াম গাছ ধ্বংস করার উপায় :

 পার্থেনিয়াম গাছের গায়ে কেরোসিন স্প্রে করলে পার্থেনিয়াম খুব তাড়াতাড়ি মারা যায়। তবে এতে অনেক অসুবিধা আছে, যেমন- পদ্ধতিটি ব্যয়সাপেক্ষ, কেরোসিন জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়লে জল নষ্ট হবে।
 খুব কম খরচে এটি বিনাশ করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ৪ থেকে ৫ লিটার জলে ১ কেজি নুন ভালো করে মিশিয়ে গাছের পাতায় ও গোড়াতে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে স্প্রে করলে ২ দিনের মধ্যে পার্থেনিয়াম গাছ মারা যাবে।

সাবধানতা অবলম্বন :

 পার্থেনিয়াম গাছে কোনো ভাবেই হাত দেবেন না এবং বাচ্চাদের দূরে রাখুন।

 পার্থেনিয়াম সাফাই অভিযানে সবসময় মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে থাকবেন। এছাড়া ফুলহাতা জামা ও ফুলপ্যান্ট পরে থাকা ভালো।

 সাফাইয়ের পর জামাকাপড় ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন ও নিজে স্নান করে বাড়িতে ঢুকবেন।

আমাদের অসচেতনতার সুযোগ নিয়েই পার্থেনিয়াম এত দ্রুত বংশবিস্তার করছে। তাই সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনারা নিজেদের চারপাশ পার্থেনিয়াম মুক্ত রাখুন, এই বিষয়ে সচেতনতা ছড়ান ও নিজেরা সুস্থ থাকুন।


No comments:

Post a Comment