হু হু করে বাড়ছে কনজাংটিভাইটিস বা "জয় বাংলা"- রোগের লক্ষণ || কি করা উচিৎ এবং কি করা উচিৎ নয় জেনে নিন
![]() |
হু হু করে বাড়ছে কনজাংটিভাইটিস বা "জয় বাংলা"- রোগের লক্ষণ |
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
এখন ছোট থেকে বড়, সবার মধ্যেই দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis) বা 'জয় বাংলা' ‘চোখ ওঠা’ রোগ। এইগুলো কোন আলাদা রোগ নয় জায়গা বিশেষে বিভিন্ন নামে পরিচিত। এখন আমরা তোমাদের সঙ্গে এই রোগের কারন, লক্ষণ, প্রতিকার এবং আরও প্রয়োজনীয় তথ্য গুলি শেয়ার করছি। এখন তোমরা খুব ভালভাবে দেখে নাও এই রোগ সম্পর্কিত সমস্থ প্রয়োজনীয় তথ্য গুলি এবং জন স্বার্থে একটু শেয়ার করে দিও, নিজেও বাঁচতে পারো এবং অপরকেও বাঁচাতে পারো।
জয় বাংলা কোন নতুন রোগ নয়। প্রায় প্রতিবছরই চোখের এই সংক্রামক রোগ বেশ কিছু মানুষের মধ্যে ছড়ায় এবং যে রোগটি তিন-চার দিনের মধ্যে কেবলমাত্র চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়া মাধ্যমে এই সেরে যেত। কিন্তু এই বছর রোগটি ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে, দেখা যাচ্ছে যে,চোখ কটকটে লাল হয়ে অসহ্য যন্ত্রণা হবার ফলে অনেককে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি করতে হচ্ছে এবং রোগটি নিরাময় করতে ৭-১০ পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।
"জয় বাংলা" জন্য কোন ভাইরাস দায়ী ?
কলকাতার দিশা চক্ষু হাসপাতালের বিশিষ্ট ভিট্রিও রেটিনা বিশেষজ্ঞ ডা: শান্তনু মণ্ডল জানিয়েছেন, আসলে এই অসুখের পিছনে রয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস দায়ী। এই ভাইরাস চোখে পৌঁছে সেখানে বংশবিস্তার করে। তারপর চোখের সাদা অংশ বা কনজাংটিভাকে আক্রান্ত করে এই জীবাণু। আর সেই কারণেই চোখে ফুটে ওঠে একাধিক লক্ষণ।
"জয় বাংলা" রোগের লক্ষণ -
- চোখ লাল হয়ে যাওয়া
- চোখ দিয়ে জল গড়ানো
- চোখে চুলকানি
- চোখ ফুলে যাওয়া
- চোখ জ্বালা করা
- এমনকী ব্যথাও থাকতে পারে
- অনেকের জ্বর আসলেও আসতে পারে
"জয় বাংলা" রোগ কীভাবে ছড়াছে ?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগটি অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে রোগ। চোখের এই সংক্রামক রোগটি প্রথমে বাচ্চাদের হয়, তারপর সাধারণত তাদের থেকেই বড়োদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এর পাশাপাশি রোগির ব্যাবহার করা গামছা বা তোয়ালে, জামাকাপড় ব্যবহার করার ফলে ছরায় এই রোগ। এই রোগ ছড়ানোর বড়ো মাধ্যম হল, সেই আক্রান্ত রোগির সংস্পর্শে আশার ফলে। অতএব রোগির থেকে একটা মিনিমাম দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
"জয় বাংলা" রোগের চিকিৎসা -
- প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।
- সবসময় পরিষ্কার ঠান্ডা জলে বারবার ভালো করে চোখ ধুতে হবে।
- চোখের জ্বালা কমানোর জন্য মাঝেমাঝে টিয়ার ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ইনফেকশন থেকে রক্ষা পেতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- রোগিকে ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বি যুক্ত ফল এবং খাবার খেতে হবে।
"জয় বাংলা" রোগ থেকে বাঁচতে কি কি করতে হবে ?
- ব্যবহার করা গামছা বা তোয়ালে, জামাকাপড় ব্যবহার করা চলবে না।
- রোগীকে যতটা সম্ভব আলাদা ঘরে আইসোলেশনে রাখতে হবে।
- কথায় কথায় চোখে হাত দেওয়া চলবে না, কোন নরম কাপড় দিয়ে চোখ পরিস্কার করতে হবে। একটা কাপড় একাধিক বার ব্যবহার করা যাবেনা।
- সংক্রমিত ব্যাক্তির মুখের কাছাকাছি সুস্থ ব্যক্তির মুখ নিয়ে যাওয়া যাবেনা।
ব্যস, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই রোগ প্রতিরোধ করতে পারা যাবে এবং সংক্রমিত ব্যাক্তিকে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ করে তুলা যাবে।
No comments:
Post a Comment