সারোগেসি কী ? || কীভাবে করা হয় ? || কতটা ঝুঁকি পূর্ণ || কত খরচ ?
![]() |
সারোগেসি পদ্ধতি কী ? |
নমস্কার বন্ধুরা,
আজকে তোমাদের সঙ্গে যে পোস্টটি শেয়ার করছি সেটি পড়াশোনা জগতের বাইরে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্টটি। যে পোস্টটির সম্পর্কে অনেকে হয়তো জানো আবার অনেকে হয়তো জানো না। তাই তোমরা সকলেই এই পোস্টটি খুব ভালোভাবে পড়ে খুব ভালো ভাবে বুঝে নাও বিষয়টি সম্পর্কে। কেনোনা পড়াশোনার পাশাপাশি এই সমস্থ টপিক গুলি সম্পর্কেও জেনে রাখা দরকার।
আমরা আজকে তোমাদের তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করছি, সারোগেসি পদ্ধতি কী ?, কীভাবে করা হয় ?, কতটা ঝুঁকি পূর্ণ, এবং এতে খরচ কত ? এই সমস্থ তথ্য গুলি সম্পর্কে। এখন অনেকই এই সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করে সন্তানের জন্মদিচ্ছে। অনেকে শারীরিক সমস্যার কারণে আবার হয়ত অনেকে তাদের শরীরের গঠন নষ্ট হবে যাবার কারণে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে সন্তানের জন্ম দিচ্ছে। আমরা এখন জানবো এই সারোগেসি পদ্ধতির সম্পর্কে।
সারোগেসি কী ?
সারোগেসি আসলে একটি সহায়ক প্রজনন-ভিত্তিক পদ্ধতি। যেখানে কাঙ্খিত বাবা-মা অন্য নারীর গর্ভ ভাড়া করে তাদের সন্তান জন্ম দেবার জন্য। যে নারী অর্থের বিনিময়ে অন্যের শিশু গর্ভে ধারণ করে সেই গর্ভধারিণী মাকে বলা হয় সারোগেট।
সারোগেসির অর্থ হলো অন্যের সন্তানকে নিজের গর্ভে ধারণ করা। যে সব দম্পতি সহজে গর্ভধারণ করতে পারেন না কিংবা কেউ যদি সিঙ্গেল প্যারেন্টস হতে চান, তারাই সারোগেসি পদ্ধতি বেছে নেয়।
সারোগেসির পদ্ধতি কী ?
সারোগেসির জন্য শুধু সারোগেট মাকে প্রয়োজন। এরপর যে দম্পতি সন্তানের মা-বাবা হতে চাইচ্ছেন, ওই পুরুষের শুক্রাণু নিয়ে আইভিএফ IVF কৌশলের মাধ্যমে সারোগেট নারীর গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়। IVF প্রযুক্তি সারোগেসির অন্যতম এক মাধ্যম। IVF হলো ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’(In vitro fertilization ), যেখানে ইন ভিট্রো এর অর্থ কাচের ভেতরে এবং ফার্টিলাইজেশন এর অর্থ নিষিক্তকরণ। সেই কারণে এই কৌশলটি টেস্টটিউব বেবি নামেও পরিচিত।
নিষিক্তকরণের অর্থ হলো পুরুষের শুক্রাণু ও নারী ডিম্বাণুর মিলন, যেখান থেকে ভ্রূণ তৈরি হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে নারীর শরীরের ভেতরে যে প্রক্রিয়াটি ঘটে, সেটিই টেস্টটিউবের মাধ্যমে ল্যাবে করা হয়।
প্রথমে পুরুষের শুক্রাণু গ্রহণের পর নারীর শরীর থেকে ডিম্বাণু বের করে একটি সূচের মাধ্যমে শুক্রাণুতে প্রবেশ করিয়ে ভ্রূণ প্রস্তুত করা হয় একটি কাচের নলের ভেতর। তারপর একটি মেডিকেল টিউবের মাধ্যমে সারোগেট নারীর জরায়ুতে প্রবেশ করানো হয়, এই পুরো ব্যবস্থাটিই হলো সারোগেসি পদ্ধতি।
কেন সারোগেসির পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় ?
আমরা সকলেই জানি যে, সন্তান ধারণের জন্য নারী ও পুরুষের মধ্যে যৌনসম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। তবে যেসব নারীর সন্তান হয় না কিংবা একক বাবা-মা বা সমলিঙ্গের অভিভাবক যারা সন্তান জন্ম দিতে পারেন না তারাই সারোগেট মাকে ভাড়া করে।
সারোগেসির পদ্ধতি কতটা ঝুঁকি পূর্ণ ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সারোগেসি খুব একটা সহজ পদ্ধতি নয়। প্রথমত, ভ্রূণের জীবনের প্রিইমপ্ল্যান্টেশন, প্রসবপূর্ব ও নবজাতক সময়কালে ব্যর্থতার সম্ভাবনা থাকে। ডিম্বাশয় উদ্দীপনা, পরবর্তী আইভিএফ চক্র ও আইভিএফ ও জেনেটিক ল্যাবরেটরির মধ্যে ভ্রূণ, পেরিনেটাল ও নবজাতক সময়ের মধ্যে নিযুক্ত কৌশলগুলির মধ্যে একাধিক জটিল চিকিৎসা পদ্ধতি থাকায় ঝুঁকি যথেষ্ট পরিমানে থাকে।
সারোগেসির পদ্ধতিতে কত খরচ ?
আইভিএফ বা টেস্টটিউব বেবির ক্ষেত্রে ভারতের খরচ আনুমানিক ৬০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়াও সারোগেট মায়ের সুস্থতা ও চিকিৎসায় তার পেছনেও অনেকটা খরচ হতে পারে। সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান পেতে অনেক ক্ষেত্রে সারোগেট মায়ের আনুষঙ্গিক খরচের পরিমাণ ৩০-৫০ লাখ টাকাও হতে পারে।
আরও পড়ুন
No comments:
Post a Comment