ভারতে প্রথম র্যাপিড রেল - কোথায় চালু হবে এবং এই ট্রেনের বৈশিষ্ট্য একনজরে দেখে নিন
নমস্কার বন্ধুরা,
তোমাদেরকে আজকে আমরা শেয়ার করবো,ভারতীর রেল ব্যবস্থার উন্নতির একটি অভিনব প্রকল্প। যে প্রকল্পটির সম্পর্কে তোমরা জানার পর তোমাদের একটি নতুন ধারনা তৈরি হবে। আজ আমরা ভারতীয় রেলের অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার আরও একটি নজির সম্পর্কে জানাবো,এই প্রথমবারের জন্য বিমানযাত্রার সুবিধা যুক্ত র্যাপিড রেল (Rapid Rail) পরিষেবা শুরু হতে চলেছে দেশে যা খুব শীঘ্রই ভারতের বুকে চালু করা হবে এবং যাতে মানুষ চরার সুযোগ পাবে এবং যে রেলওয়ে ব্যবস্থাটি চালু করা হবে দিল্লি-মিরাট রেল রুটে। আমরা নীচে এর সম্পর্কে একটি সুন্দর প্রতিবেদন তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
দিল্লি-মিরাট RRTS হল বর্তমানে নির্মাণাধীন আধা-উচ্চ গতির রেল করিডোর যা দিল্লি, গাজিয়াবাদ এবং মিরাট এর সাথে সংযুক্ত করবে।এটি ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (NCRTC) দ্বারা পরিচালিত RapidX প্রকল্পের প্রথম ধাপের অধীনে পরিকল্পনা করা তিনটি দ্রুত রেল করিডোরের মধ্যে একটি। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে ৩০,২৭৪ কোটি টাকা এবং দুহাই এবং মোদিপুরম সহ মোট ২৪টি স্টেশন থাকবে সম্পূর্ণ রুট টিতে।
রেলমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশ্যে র্যাপিড রেল পরিষেবা চালু করবেন। তবে আসল বিষয় হল, এই র্যাপিড ট্রেনে বিভিন্ন সুবিধা ও তার ব্যতিক্রমী পরিষেবার দীর্ঘ তালিকা, যে তালিকা গুলি দেখার পর তোমরা অবাক হয়ে যাবে।
র্যাপিড ট্রেনের বৈশিষ্ট্য-
০১. সর্বোচ্চ ১৮০ কিমি/ঘন্টা (১১১.৮৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা) গতিতে, দিল্লি এবং মিরাটের মধ্যে সম্পূর্ণ দূরত্ব ৬০ মিনিটেরও কম সময়ে কভার করা হবে।
০২. এই ট্রেনে বড় গ্লাস জানালা থাকছে বাইরে দৃশ্য সুন্দর করে উপভোগ করার জন্য। এছাড়াও যাত্রীদের জন্য ফ্রি ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা থকবে।
০৩.অটোমেটিক ডোর কন্ট্রোল সিস্টেম, কেন্দ্রীয়ভাবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, তাছাড়া আসনে বসেই চালকের সঙ্গে যোগাযোগের বিশেষ সুযোগের ব্যবস্থা থাকবে এই ট্রেনে।
০৪. শারীরিকভাবে বিশেষ অক্ষম যাত্রীদের বসার জন্য পৃথক আসনের ব্যবস্থা থাকব, আবার ওই আসনে কোনো যাত্রী না থাকলে সেটি ভাঁজ করে রেখে দেওয়া যাবে।
০৫. দিল্লি মেট্রোর মতো এতে এই ট্রেনেও মহিলাদের জন্য পৃথক কোচের পাশাপাশি আলাদা করে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকছে।
০৬. এই ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল, এতে একেবারে শেষ কামরায় একটি স্ট্রেচার রাখা থাকবে অসুস্থ রোগীর জন্য। এমনকি এই ট্রেনের যাত্রীদের জন্য মেডিকেলে বিশেষ সুযোগ সুবিধা আছে। তাছাড়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মতো রেল অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা থাকতে চলেছে র্যাপিড ট্রেনে।
০৭. এই র্যাপিড রেলের ভাড়া কত হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করে রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
তোমাদের এই র্যাপিড রেল সম্পর্কে পড়ে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে এবং এই রকম ইন্টারেস্টিং এবং গুরুত্বপূর্ণ নলেজের পোস্ট গুলি সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাও-
টেলিগ্রাম চ্যানেল লিংক- Sohojogita :: সহযোগিতা
No comments:
Post a Comment