Primary School Semester:: প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে সিমেস্টার সিস্টেম,জেনে নিন সকল নিয়ম কানুন গুলি
ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গবাসী,
তোমাদের জন্য নিয়ে হাজির হয়েছি একটি দারুন অভিনব শিক্ষা সংক্রান্ত খবর নিয়ে, যে খবরটি তোমাদের অবশ্যই জেনে রাখার প্রয়োজন, যাত নিজের বাড়ির এবং পাশাপাশি বাড়ির প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়াদের বিষয়টি বুঝাতে সুবিধা হয়।
যেখানে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রাথমিক শিক্ষায় সেমিস্টার পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাইছেন সামনের শিক্ষা বর্ষ থেকে। গত শক্রবার পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের উপর থেকে পরীক্ষার চাপ কমানোর জন্য এবং ছোট থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় দক্ষ করে তুলতে এবং পড়াশোনার প্রতি উৎসাহিত করতে, সেমিস্টার পদ্ধতির পরীক্ষা চালু করা হচ্ছে।
এই পদ্ধতির নাম কি ?
নতুন পদ্ধতির নাম রাখা হয়েছে ‘ক্রেডিট বেসড সিমেস্টার সিস্টেম’।
কবে থেকে চালু হবে এই পদ্ধতি ?
২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য চালু হয়ে যাবে এই পদ্ধতি।
কাদের জন্য এই পদ্ধতি চালু হবে ?
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য চালু হবে এই পদ্ধতি।
এই পদ্ধতির সিলেবাস কি করা হচ্ছে ?
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পুরনো সিলেবাসেই পরীক্ষা নেওয়া হবে, তবে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকের সিলেবাসের বদল আসবে।
নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষাবর্ষকে কয়টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে ?
নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষাবর্ষকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছেঃ
- প্রথম সেমিস্টার: জানুয়ারি থেকে জুন।
- দ্বিতীয় সেমিস্টার: জুলাই থেকে ডিসেম্বর।
নতুন পদ্ধতিতে নম্বর বিভাজন ?
১০০ নম্বরে পরীক্ষা দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম সিমেস্টার হবে ৪০ নম্বরে, পরের পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরে।
৪০ নম্বরের পরীক্ষা কোনও লিখিত আকারে হবে না। ৪০ নম্বরের মধ্যে ২০ নম্বর থাকবে পড়ুয়াদের উপস্থিতি, ক্লাসে আচরণ ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়নের উপর, বাকি ২০ থাকবে বিভিন্ন প্রজেক্টের ভিত্তিতে। দ্বিতীয় সিমেস্টার হবে পুরোটাই লিখিত।
নতুন পদ্ধতিতে ঘণ্টার ভিত্তিতে শিক্ষাবর্ষ:
- প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ৮০০ ঘণ্টা।
- তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য ১০০০ ঘণ্টা।
ক্রেডিট স্কোর কি ?
পর্ষদ সভাপতি এও জানান মার্কশিটে মার্কসের সঙ্গে ক্রেডিট পয়েন্ট দেওয়া হবে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যখন প্রতিযোগিতায় যাবে, তখন এই ক্রেডিট পয়েন্ট গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলেও জানিয়েছে পর্ষদ। ক্রেডিট স্কোর দেওয়া হবে-
প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য প্রত্যেক বছর মোট ৩৭৬ ঘণ্টা ক্লাসের সময় ঠিক করা হয়েছে। তার উপর দেওয়া হবে ‘ক্রেডিট স্কোর’। সর্বোচ্চ ‘ক্রেডিট স্কোর’ স্থির করা হয়েছে ১৩.৫।
তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে বছরে ক্লাস নেওয়া হবে ৪৬০ ঘণ্টা। এই তিন শ্রেণির জন্য সর্বোচ্চ ‘ক্রেডিট স্কোর’ স্থির করা হয়েছে ১৬.৫।
নতুন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ও পরীক্ষা -
নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি করার দায়িত্ব আর থাকছে না স্কুলের হাতে। প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র তৈরি করবে পর্ষদই। গোটা রাজ্যে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে। তবে খাতা দেখবে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https://wbbprimaryeducation.org/
No comments:
Post a Comment