Breaking




Friday 15 March 2024

WB HS Exam Semester System :: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে ৪টি সেমিস্টারে- পরীক্ষা পদ্ধতি || নম্বর বিভাজন || সিলেবাস

WB HS Exam Semester System :: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে ৪টি সেমিস্টারে- পরীক্ষা পদ্ধতি || নম্বর বিভাজন || সিলেবাস

৪টি সেমিস্টারে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়
৪টি সেমিস্টারে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়
স্নেহের ছাত্রছাত্রীরা,
আমরা গত কয়েক মাস আগে থেকে একটা খবর শুনে আসছি যে পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চালু হবে সেমিস্টার সিস্টেমে। যেটির সম্পর্কে অনেক তথ্য বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল থেকে শুনা যাচ্ছিলো। আমরা আজকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চালু হল সেমিস্টার সিস্টেম এই সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। যে প্রতিবেদনটি সেমিস্টার সিস্টেমের পরীক্ষা পদ্ধতি, নম্বর বিভাজন, সিলেবাস, পাশ নম্বর এই সমস্ত উল্লেখযোগ্য তথ্য গুলি দেওয়া থাকবে। তাই দেরি না করে অবিলম্বে নীচের প্রতিবেদনটি দেখে নিন-

এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা বিষয়ক বড়ো আপডেট হল ৪টি সেমিস্টারে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। সেই সম্পর্কে গত বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ডঃ চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সেমিস্টার সিস্টেম নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখলেন। তিনি জানান ২০২৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে যে সকল ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবে তারা এই নতুন সেমিস্টার সিস্টেমে পঠন-পাঠন শুরু করবেন। 
(বিঃ দ্রঃ- যারা ২০২৪ সালে দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হলে অর্থাৎ ২০২৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক দেবেন তারা পুরানো সিস্টেমেই পরীক্ষা দেবেন, তাদের ক্ষেত্রে নতুন সিস্টেম লাগু হবেনা।)

২০২৪ সালে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া পরীক্ষার্থীরা ৪টি সেমিস্টারের মাধ্যমে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। এক্ষেত্রে পাশ ফেল কীভাবে নিধারন করা হবে, কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেমিস্টারের বিভাজন, সিলেবাস, পরীক্ষায় নম্বর বিভাজন এবং আরও তথ্য গুলি নীচে আলোচনা করা হল- 

পরীক্ষা পদ্ধতি

❏ একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে মোট ৪টি সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে। (একাদশ শ্রেণীতে দুটি সেমিস্টার প্রথম এবং দ্বিতীয়। দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি সেমিস্টার তৃতীয় এবং চতুর্থ।)

❏ একাদশ শ্রেণীর প্রথম এবং দ্বিতীয় সেমিস্টারের নম্বর মিলিয়ে একটি মার্কশিট তৈরি করা হবে। অপরদিকে দ্বাদশ শ্রেণীর তৃতীয় এবং চতুর্থ সেমিস্টারের নম্বর মিলিয়ে আলাদা মার্কশিট তৈরি করা হবে।

❏ একাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে প্রথম সেমিষ্টারে কেবলমাত্র MCQ প্রশ্ন থাকবে এবং দ্বিতীয় সেমিষ্টারে SAQ সহ অন্যান্য বড় প্রশ্ন থাকবে। 
একইভাবে দ্বাদশ শ্রেণীর শুরুতে অর্থাৎ তৃতীয় সেমিস্টারে কেবলমাত্র MCQ প্রশ্ন থাকবে এবং চতুর্থ সেমিস্টারে SAQ সহ অন্যান্য বড় প্রশ্ন গুলি থাকবে।

পরীক্ষার সিলেবাস 

❏ সিলেবাস সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে আর্টস এবং সাইন্স বিভাগের সিলেবাসে বিশেষ কিছু পরিবর্তন করা হয়নি, কমার্স বিভাগের ক্ষেত্রে কিছু কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিবর্তিত সিলেবাস উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। সেখান থেকে প্রত্যেকটি বিষয়ের আলাদা আলাদা সিলেবাস সংগ্রহ করে দেখতে পাবেন।

পরীক্ষার সময় 

❏ ১ম ও ৩য় সেমিস্টার হবে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে। ২য় ও চতুর্থ সেমিস্টার হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে। ৩য় ও ৪র্থ সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে পারবে একটি অ্যাডমিট কার্ডে।

পরীক্ষার কেন্দ্র 

❏ একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ছাত্রছাত্রীরা নিজের স্কুলেই দিতে পারবেন (যেটা পরিচালনা করবে স্কুল নিজেই।)। মাধ্যমিকের পর পড়ুয়ারা যে স্কুলে ভর্তি হবেন সেই স্কুলেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হবে। দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি সেমিস্টারের ক্ষেত্রেই বাইরের স্কুলে পরীক্ষা হবে। দুটি সেমিস্টারের পরীক্ষাই একটি নির্দিষ্ট স্কুলে হবে (এক্ষেত্রে দু’টি সেমিস্টার পরিচালনা করবে কাউন্সিল)

পরীক্ষার নম্বর বিভাজন 

নম্বর বিভাজনের ক্ষেত্রেও পর্ষদে সংসদ সভাপতি বলেন যে, প্র্যাকটিক্যাল এবং নন প্র্যাকটিক্যাল বিষয়ে দুটি ভিন্ন নম্বর বিভাজন অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হবে।

প্রাকটিক্যাল বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রথম সেমিস্টারে ৩৫ নম্বরের MCQ প্রশ্ন থাকবে এবং দ্বিতীয় সেমিস্টারে SAQ সহ অন্যান্য বড় প্রশ্ন মিলিয়ে ৩৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। ৩০ নম্বরের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হবে। (যেটি আগের সিস্টেমে ছিলো)

❏ নন প্র্যাকটিক্যাল বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রথম সেমিস্টারের ৪০ নম্বরের MCQ প্রশ্ন থাকবে এবং দ্বিতীয় সেমিস্টারে SAQ সহ অন্যান্য বড় প্রশ্ন মিলিয়ে ৪০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। ২০ নম্বরের প্রজেক্ট থাকবে। (এখেত্রেও আগের সিস্টেমই মতায়েন থাকবে)

পরীক্ষায় পাশ নম্বর 

ছাত্রছাত্রীদের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি দুটি ক্ষেত্রেই দুই সেমিস্টারের নম্বর মিলিয়ে পাশ নম্বর তুলতে হবে।
প্রতিটি বিষয়ে পাশ করার জন্য মূল নম্বরের ৩০% নম্বর পেতে হবে অর্থাৎ ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩০ পেতে হবে। লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে এবং প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে আলাদাভাবে পাশ নম্বর পেতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করতে গেলে লিখিত পরীক্ষার মূল নম্বরের ৩০% নম্বর এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় পাশ করতে গেলে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার মূল নম্বরে ৩০% নম্বর পেতে হবে।

পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার পদ্ধতি 

❏ অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়া মাত্রই অর্থাৎ বছরের শুরুতেই পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে। সেমিস্টার সিস্টেমের প্রথম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে আগামী ২০২৬ সালে।

উচ্চ মাধ্যমিক সেমিস্টার সিলেবাস :: Click Here

No comments:

Post a Comment