রাজ্যে ৫টি জেলা ভেঙে তৈরি হচ্ছে ৭টি নতুন জেলা, কোন ৫টি জেলাকে ভাঙা হবে দেখে নিন
ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গবাসী,
তোমাদের জন্য শেয়ার করছি রাজ্যের একটি চরম খবর নিয়ে, যে খবরটি দেখার পর তোমরা অবাক হতে বাধ্য হবে। বর্তমানে রাজ্যে ২৩টি জেলা আছে যার মধ্যে কিছু কিছু জেলা আছে যে গুলি তুলনামূলক বড়ো জেলা। সেই সমস্থ বড়ো জেলা গুলকে ভেঙে তৈরি করা হবে আরও নতুন ৭টি জেলা।
মূলত প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ভালোভাবে কায়েম করার জন্য এবং রাজনৈতিক হিসাব-নিকেশ যাতে ভালোভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য বড়ো জেলা গুলিকে ভেঙে ছোট জেলা তৈরির দিকে ঝুঁকছে রাজ্যের শাসক দল।
এই জেলা ভেঙে নতুন জেলা গঠনের পর্ব অনেকদিন আগে থেকেই আলোচনার তুঙ্গে ছিলো, কিন্তু অনেক প্রশাসনিক জটিলতার কারণে সেই কাজ থমকে যায়। তবে সেই বিতর্ক সঙ্গে নিয়েই এবার বাংলার জেলা বিভাজন এক প্রকার নিশ্চিত বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড়পত্র জরুরি।
নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতির রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই জেলা বিভাজনের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে। তাতে জানা গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, বাঁকুড়া ও মুর্শিদাবাদ এই পাঁচটি জেলাকে মূলত ভাঙা হবে।পাঁচটি জেলাকে ভেঙে সাতটি জেলা গঠিত হলে তখন রাজ্যে জেলার সংখ্যা হয়ে দাঁড়াবে ৩০টি।
৫টি রাজ্য ভেঙে ৭টি রাজ্য গঠন-
০১. দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভেঙে সুন্দরবন জেলা গড়ে উঠবে। মূলত ক্যানিং ও কাকদ্বীপ মহকুমা নিয়ে এই জেলা গঠিত হবে বলে জানা যাচ্ছে।
০২. নদিয়া থেকে রানাঘাট মহকুমাকে আলাদা করে পৃথক জেলা করা হবে।
০৩. বাঁকুড়া থেকে বিষ্ণুপুর মহকুমাকে আলাদা করে নতুন জেলা তৈরি হবে।
০৪. মুর্শিদাবাদকে ভেঙে মোট তিনটি জেলায় পরিণত করা হবে। যেখানে বহরমপুর মহকুমাকে একটি জেলা ও কান্দি এবং জঙ্গিপুর মিলিয়ে অপর একটি জেলা গড়ে তোলা হবে।
০৫. উত্তর ২৪ পরগনা ভেঙে মোট তিনটি জেলা হবে। বসিরহাট মহকুমাকে পৃথক একটি জেলায় তৈরি করা হবে। অপরদিকে বনগাঁ ও বাগদাকে নিয়ে আলাদা একটি জেলা তৈরি করা হবে।
∎ নতুন জেলাগুলির কী নাম হবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শুধু ঠিক হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভেঙে তৈরি হওয়া নতুন জেলার নামকরণ সুন্দরবন রাখা হবে।
নতুন জেলা তৈরি নিয়ে নানান সমস্যা-
∎ রাজ্যের যে ৫টি জেলা ভেঙে নতুন জেলা গঠন করা হচ্ছে সেই ৫টি জেলার বেশিরভাগ জেলাই ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পন্ন এবং অনেক দর্শনিয় স্থান লুকিয়ে আছে জেলা গুলির আনাচে কানেচে। এইবার সেই সমস্থ জেলা গুলিকে আলাদা করে দিলে সেখানে সমস্যাতো দেখা দেবেই।
∎ যেখানে দেখা যাচ্ছে, নদিয়া থেকে রানাঘাট আলাদা করার সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না অনেকেই। কারন শ্রী চৈতন্যদেবের জেলা থেকে রানাঘাটকে আলাদা করে দেওয়া অনেকে মেনে নিতে পারচ্ছেনা।
∎ আবার দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর আলাদা হয়ে যাওয়ার বিষয়টিও অনেকের পছন্দ নয়। বহুদিন ধরে এই দুটি মহকুমা এলাকা এক জেলার অন্তর্ভুক্ত। সেখান থেকে ঐতিহাসিক বিষ্ণুপুর বেরিয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না অনেকে।
∎ সবচেয়ে বেশি বিতর্ক এবং সমস্যার তৈরি হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলাকে নিয়ে, কারন মুর্শিদাবাদ জেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক দর্শনিয় স্থান গুলি। সেই দর্শনিয় স্থান গুলি আলাদা হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে মেনেনিতে পারচ্ছে না বহরমপুর ও জঙ্গিপুরের মানুষজন আবার বহরমপুর ও জঙ্গিপুরের আলাদা হয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেনা মুর্শিদাবাদের মানুষজন।
No comments:
Post a Comment