Breaking




Tuesday 19 July 2022

বর্ণ প্রথা কী ? বর্ণ প্রথার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখো।

 বর্ণ প্রথা কী ? বর্ণ প্রথার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখো।

বর্ণ প্রথা কী ? বর্ণ প্রথার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখো।
বর্ণ প্রথা কী ? বর্ণ প্রথার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখো।
ডিয়ার 11th পরীক্ষার্থী...
আমরা আজকে তোমাদের ইতিহাস বিষয়ের একটি খুবি ছোটো এবং খুবি দরকারি প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো। আজকের সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হল, বর্ণ প্রথা কী ? বর্ণ প্রথার বৈশিষ্ট্য। তোমার যারা উক্ত শ্রেণীতে পড়ছো তোমরা অবশ্যই প্রশ্নটি ভালোভাবে পড়ে নাও।

 বর্ণ প্রথা কী ?

উত্তর ঃঃ ভারতের ধর্মের এক উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, বর্ণ প্রথা। ভারতের বর্ণ প্রথার সংজ্ঞা সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। গ্রিক ও ভারতীয় কোনো পণ্ডিত এর সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। বৈদিক যুগে চতুর্বর্ণ প্রথার অস্তিত্ব ছিল। ঐতিহাসিক র‍্যাফসনের মতে বর্ণ প্রথা শব্দটি গায়ের রঙ অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে। ঐতিহাসিকরা সেটি মনে করেন বৈদিক যুগে "গোষ্ঠী স্বতন্ত্র" থেকে বর্ণ প্রথার উদ্ভব।

 বর্ণ প্রথার বৈশিষ্ট্য -

উত্তর ঃঃ বর্ণ প্রথার বৈশিষ্ট্য গুলি হল নিম্নরূপ -

❐ চতুর্বর্ণ প্রথা ঃ আর্য সমাজের চিরাচরিত চতুর্বর্ণ প্রথা ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র  এবং প্রাচীন কালের ধর্ম সুত্রে এবং মনুস্বিতিতে নির্ধারিত বর্ণচতুষ্টয়ের পদমর্যাদা এবং ক্রিয়াকলাপ অর্থশাস্ত্র সর্বদাই অনুসরণ করেছে, অর্থশাস্ত্রে প্রতিটি বর্ণের জন্য বিবিধ দায়িত্বের ভার দেওয়া হয়েছে। শুদ্রক প্রথম তিনটি দ্বিজবর্ণ যাদের সর্বোচ্চ স্তরে আছে ব্রাহ্মন। 
ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্যরা ছিল আর্য। এবং অনার্যরা ছিল শূদ্র বলে বিবেচিত হতো।
এই চতুর্বর্ণের মধ্যে ব্রাহ্মণদের অবস্থান ছিল সবচেয়ে উঁচুতে। তাদের কাজ ছিল বিভিন্ন যাগযজ্ঞ করা, পূজা-অর্চনা করা এবং অধ্যায়ন- অধ্যাপনা করা। 
  ক্ষত্রিয়দের অবস্থান ছিল ব্রাহ্মণদের পরেই। ক্ষত্রিয়দের কাজ ছিল দেশ শাসন, দেশ রক্ষা এবং বিভিন্ন সামরিক ক্ষেত্রে কাজ করা। 
 বৈশ্যদের অবস্থান ছিল ক্ষত্রিয়দের পরেই। বৈশ্যদের কাজ ছিল ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রাখা। 
 সমাজের চারটি বর্ণের মধ্যে সবচেয়ে নিচে অবস্থান করতো শূদ্র। শূদ্র বলতে ছিল সমাজের সাধারণ শ্রমজীবী অনার্য মানুষেরা।

❐ অন্যান্য বর্ণ ঃ চতুর্বর্ণের বাইরেও বর্ণ ব্যবস্থা বিস্তৃত ছিল। অসংখ্য বর্ণ ছিল যাদের বর্ণ ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা জেত না। এই সব গোষ্ঠীদের নাম দেওয়া হয়েছিল অন্তরাল। ১৪টি বর্ণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল, এদের মধ্যে কয়েকটিকে শূদ্রদের উপরে স্থান দেওয়া হয়েছে।

❐ শ্রম বিভাজন ও বর্ণ ব্যবস্থা  ঃ প্রাচীন ভারতের শ্রমবিভাজন ও বর্ণব্যবস্থা ছিল পরস্পরের পরিপূরক। বর্ণ ভিত্তিক শ্রম বিভাজন প্রথম পর্যায়ে যতটা কঠোর ছিল পরেতা অনেকটা স্থিতিল হয়ে যায়। বর্ণ ব্যবস্থাকে সার্বজনীন করে তোলার ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণদের ভূমিকা ছিল বেশি।

❐ সক্রিয় সমাজের নমনীয়তা ঃ বৈদিক যুগে প্রথম ভাগে ব্রাহ্মণদের যে ক্ষমতা ছিল পরবর্তীকালে তা অনেক নমনীয় হয়ে পড়ে, বৈষ্যদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তারা অর্থ এবং সম্পদ দিয়ে সমাজকে নিয়ন্ত্রিত করতে থাকে। ক্ষত্রিয় সমাজে নতুন নতুন মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটে। তাদের মধ্যে অন্তর্বিবাহ চালু হয়। 
------ ধন্যবাদ -----

No comments:

Post a Comment