Breaking




Sunday 8 May 2022

দ্রবন :: সংজ্ঞা । প্রকারভেদ । বৈশিষ্ট্য

 দ্রবন :: সংজ্ঞা । প্রকারভেদ । বৈশিষ্ট্য || Solutions Definition Types Features

দ্রবন :: সংজ্ঞা । প্রকারভেদ । বৈশিষ্ট্য || Solutions Definition Types Features
দ্রবন :: সংজ্ঞা । প্রকারভেদ । বৈশিষ্ট্য || Solutions Definition Types Features
 বন্ধুগণ,
আজকে তোমাদের সামনে আলোচনা করবো পদার্থবিদ্যার একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ টপিক দ্রবন সম্পর্কে। যার মধ্যে থাকবে দ্রবনের সংজ্ঞা, দ্রবনের দুটি অংশ, দ্রবনের প্রকারভেদ এবং বৈশিষ্ট্য।সুতরাং আর বেশি সময় নষ্ট না করে জেনে নেওয়া যাক, একনজরে দ্রবণ সম্পর্কে।
দ্রবন 

▣ সংজ্ঞা ঃ
দুই বা ততোধিক পদার্থকে (কথিন,তরল বা গ্যাসীয়) মেশালে যদি একটি সমসত্ত্ব মিশ্রন উৎপন্ন হয় এবং ওই মিশ্রনের উপাদানগুলির আপেক্ষিক পরিমাণ যদি একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত পরিবর্তিত করা সম্ভব হয়, তবে ওই মিশ্রণকে দ্রবন বলে।

দ্রবনের দুটি অংশ থাকে। যেমন - ১. দ্রাব ২. দ্রাবক ।

১. দ্রাব (Solute) ঃ দুটি পদার্থের সমসত্ত্ব মিশ্রনে যে দ্রবন উৎপন্ন হয় সেই দ্রবনে যে পদার্থটির পরিমাণ অন্য পদার্থের চেয়ে কম থাকে অথবা তরল -কঠিনের মিশ্রনে যে পদার্থটি তরলে দ্রবীভূত হয়ে যায় তাকে দ্রাব বলে। যেমন- চিনি,সোডিয়াম ক্লোরাইড প্রভৃতি জলে দ্রবীভূত হয়ে  সমসত্ত্ব  মিশ্রন উৎপন্ন করে। চিনি এবং সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবনে সর্বদাই চিনি এবং সোডিয়াম ক্লোরাইডের পরিমাণ কম থাকে। সেজন্য চিনি, সোডিয়াম ক্লোরাইড হল দ্রাব।

২. দ্রাবক (Solvent) ঃ  সমসত্ত্ব মিশ্রনে যে পদার্থ বা উপাদান বেশি পরিমাণ থাকে এবং যার মধ্যে দ্রাব দ্রবীভূত করা হয়, যার ভোট অবস্থা উৎপন্ন দ্রবণটির ভৌত অবস্থা নির্ধারণ করে তাকে দ্রাবক বলে। যেমন- চিনির জলীয় দ্রবনে সর্বদাই জলের পরিমাণ বেশি থাকে সেজন্য জলকে দ্রাবক বলে। এখানে, দ্রাবক-জলের ভৌত অবস্থা তরল বলে দ্রবনের ভৌত অবস্থাও তরল হবে, অর্থাৎ দ্রাবকের ভৌত অবস্থা দ্বারা দ্রবনের ভৌত অবস্থা নির্ধারিত হয়।
      সুতরাং দ্রবন হল দ্রাব এবং দ্রাবকের সমসত্ত্ব মিশ্রন অর্থাৎ, দ্রবন = দ্রাবক + দ্রাব।

▣ দ্রবনের প্রকারভেদ ঃ
দ্রাবক এবং দ্রাবের ভৌত অবস্থায় ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্রকার দ্রবন পাওয়া যায়।

দ্রবণ দ্রাবক দ্রাব উদাহরন
তরলে কঠিন পদার্থের দ্রবন তরল কঠিন জলের মধ্যে চিনি, লবণ প্রভৃতি মেশালে এই রকম দ্রবন উৎপন্ন হয়।
তরলে তরল পদার্থের দ্রবন তরল তরল অ্যালকোহল এবং জলের মিশ্রন ( অ্যালকোহলের পরিমাণ জলের তুলনায় কম)
তরলে গ্যাসীয় পদার্থের দ্রবন তরল গ্যাসীয় সোডা ওয়াটার । ( উচ্চচাপে জলে দ্রবীভূত কার্বন ডাইঅক্সাইড)।
কঠিনে তরল পদার্থের দ্রবণ কঠিন তরল সোডিয়াম অ্যামালগাম ( সোডিয়াম ও পারদের দ্রবণ)।
কঠিনে কঠিনের দ্রবণ কঠিন কঠিন পিতল (তামা+দস্তা)।
কঠিনে গ্যসের দ্রবণ কঠিন গ্যাস প্যালাডিয়াম/নিকেন ধাতু H2 গ্যাস শোষণ করে সমসত্ত্ব মিশ্রন তৈরি করে।
গ্যাসে গ্যাসের দ্রবণ গ্যাস গ্যাস বায়ু (নাইট্রোজেন + অক্সিজেন + জলীয় বাষ্প + অন্যান্য গ্যাস)।
 
দ্রবনের বৈশিষ্ট্য ঃ
দ্রবণ সমসত্ত্ব হয়। অর্থাৎ দ্রবণের সব অংশের গঠন, উৎপাদন ও ধর্ম একই হয়।
দ্রবণের মধ্যে দ্রাব ও দ্রাবকের কণাগুলি খুব সূক্ষ্ম হয়। এগুলিকে খালি চোখে এমনকি অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও দেখা যায় না।
দ্রবণে, দ্রাব ও দ্রাবকের ধর্মের কোনো পরিবর্তন হয় না।
অনেকক্ষণ স্থির অবস্থায় রেখে দিলেও কঠিন দ্রাবের কণাগুলি থিতিয়ে পড়ে না।
পরিস্রাবন ও আস্রাবন পদ্ধতিতে দ্রাব ও দ্রাবক পৃথক করা যায় না।
দ্রবণ প্রস্তুতি সময় তাপের তারতম্য হতেও পারে নাও হতে পারে।
উষ্ণতার পরিবর্তন করে দ্রবনে দ্রাবের পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো যায়।
কোনো কঠিন দ্রাবের জলীয় দ্রবণের বর্ণ দ্রাবের বর্ণের মতো হয়। যেমন - তুঁতের জলীয় দ্রবণের বর্ণ তুঁতের মতো নীল হয়।
দ্রবণে দ্রাব কণার ব্যাস ১০-৮ সেমি বা তার কম হয়।


No comments:

Post a Comment