Breaking




Thursday, 19 August 2021

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নেতা । An important national leader of India.

 ভারতের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নেতা 

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নেতা
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নেতা 
বন্ধুগন,
আমরা ভারতীয়রা সকলেই জানি প্রায় ২০০ বছর ধরে ইংরেজরা আমাদের উপর শাসন চালিয়ে ছিল। সেই শোষণের বিরুদ্ধে রুক্ষে দাঁড়াতে এবং ইংরেজদের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেবার জন্য অনেক জাতীয় নেতাকে প্রান দিতে হয়েছিলো । আমরা আজের নোট সেই সমস্ত মহান জাতীয় নেতাদের আত্মবলিদান তথা তাঁদের কৃতিত্ব গুলি সম্পর্কে জানবো ।
      সুতরাং আর কোনো রকম সময় নষ্ট না করে আমরা জেনে নেবো ভারতের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নেতাদের অবদান সম্পর্কে ।
জাতীয় নেতাদের অবদান  
▣ সুভাষচন্দ্র বোস ঃ 
 সুভাষচন্দ্র বোস ১৮৯৭ সালে ২৩শে জানুয়ারী ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহন করেন । তিনি "নেতাজী" নামে জনপ্রিয় ছিলেন।
 ১৯২০ সালে আই . সি . এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন কিন্তু চাকরি পরিত্যাগ করেন । উনি গান্ধীজীর ডাকে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। 
 ১৯২৮ সালে সুভাষচন্দ্র বোস ও জওহরলাল নেহেরু মিলিতভাবে  "ইন্ডিপেন্ডেন্স লিগ অফ ইন্ডিয়া" গঠন করেন ।
 ১৯৩৮ সালে আই . এন . সি-র হরিপুরা কংগ্রেস অধিবেশনে সভাপতি পদে নিযুক্ত হন । ১৯৩৯ সালে ত্রিপুরি অধিবেশন সভাপতি পদে নিযুক্ত হন । 
 গান্ধীজী সাথে ভাবাদর্শগত পার্থক্যর জন্য নেতাজী ত্রিপুরী অধিবেশন থেকে পদত্যাগ করেন করেন।
 ১৯৩৯ সালে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন । 
 ১৯৪১ সালে ছদ্মবেশে কলকাতা ত্যাগ করে বার্লিনে পৌঁছান এবং হিটলারের সঙ্গে দেখা করেন ।
 তাঁর আন্দোলনের মূল স্লোগান ছিল "দিল্লী চলো" ও "তোমরা আমায় রক্ত দাও , আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।"
 উনি নিজের আত্মজীবনী নিজে লেখেন "দি ইন্ডিয়ান স্ট্রাগেল"
▣ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঃ
 দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । তিনি ব্রহ্ম সমাজের প্রধান নেতা ছিলেন । ১৯ শতাব্দীর নতুন ধার্মিক ক্ষেত্র ছিল যেটা প্রয়াস করেছিল হিন্দুদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ের পুনর্জাগরণ যেটা উপনিষদে বলা আছে ।
 পরবর্তীকালে তিনি একজন কবি , দার্শনিক , শিক্ষাব্রতী , আন্তর্জাতিকতাবাদী এবং দেশভক্ত হয়ে ওঠেন।
 তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশ হয়েছিল অমৃতবাজার প্রত্রিকায় । তিনি তারপর "বনফুল" গল্প এবং ভানুসিংহের পদাবলী (গান) লিখেছিলেন।
 ১৯০১ সালে ২২শে ডিসেম্বর তিনি বোলপুরের কাছে শান্তিনিকেতনের প্রতিষ্ঠা করেন ।
 তিনি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের বিরোধিতা করেন রাখী বন্ধনের মাধ্যমে ।
 গীতাঙ্গলী লেখার জন্য তিনি ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান ।
 বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ।
 ১৯১৫ সালে তাঁকে ব্রিটিশ সরকার "নাইট" উপাধীতে ভূষিত করেন ।
 তাঁর লেখা গানকে দুটি দেশ জাতীয় সংগীত হিসাবে বেছে নিয়েছে ।
       জন গন মন - ভারত , আমার সোনার বাংলা - বাংলাদেশ 
▣ জওহরলাল নেহেরু ঃ
 ১৪ই নভেম্বর ১৮৮৯ সালে এলাহাবাদে জন্মগ্রহন করেন ।
 জওহরলাল নেহেরু স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং উনি আধুনিক ভারতের ভাস্কর হিসাবে পরিচিত ছিলেন ।
 ১৯৪৭-১৯৬৪ সাল অবধি উনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত ছিলেন ।
 লাহোর সেশনে নেহেরুজীর সভাপতিত্বে ইন্ডিপেন্ডেন্স রেগুলেশন পাশ হয়েছিল ।
 "পঞ্চশীল ডকট্রিন" -এর লেখক ছিলেন এবং ইনি Non-Alignment -এর নীতিতে বিশ্বাস করতেন ।
 তাঁর আত্মজীবনীর নাম , "এন অটোবায়োগ্রাফি"
▣ ভগত সিং ঃ
 ২৮শে সেপ্টেম্বর ১৯০৭ সালে পাঞ্জাবের লায়াল্পুরে জন্মগ্রহন করেন ।
 হিন্দুস্থান সোশালিস্ট রিপাবলিকান এ্যাসোসিয়েশনের (HSRA) সদস্য ছিলেন ।
 ১৯২৮ সালেব্রিটিশ পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট মিস্টার স্যান্ডার্সকে গুলি করে হত্যা করেন । 
 মিলিটেন্ট নৌজওয়ান ভারত সভা শুরু করেছিলেন পাঞ্জাবে ।
 তিনি লাহোর ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত হন এবং কেন্দ্রীয় আইন পরিষদে বোমাবাজি করেছিলেন ।
 ২৩শে মার্চ ১৯৩১ সালে ওনাকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় ।
▣ দাদাভাই নৌরজি ঃ
 ইনি একজন রাজনীতিবিদ , যিনি আই . এন . সি . প্ল্যাটফর্ম থেকে "স্বরাজ" এর দাবি করেন ।
 তাঁকে "ইন্ডিয়ান গ্ল্যাডস্টোন" এবং "গ্রান্ড ওল্ড ম্যান অফ ইন্ডিয়া" পদবীতে ভূষিত করা হয়েছে ।
 তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ , "Poverty and Unbritish Rule in India"-তে ব্রিটিশদের দ্বারা ভারতের সম্পদ নিঃশেষ হয়ে যাওয়া এবং ভারতে প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষের মধ্যে যোগসূত্র বার করেছেন ।
 হাউস অফ কমনস অন আ লিবারেট পার্টির টিকিটে তাঁকে নির্বাচন করা হয়েছিল ।
▣ খান আব্দুল গফফর খান ঃ
 সীমান্ত গান্ধী , বাদশাহ খান এবং সরশাদী গান্ধী নামে জনপ্রিয় ছিলেন খান আব্দুল গফফর খান ।
 তিনি "খোদাই খিদমদ্গার" নামে একটি দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং "রেড সার্টস" নামে একটি অহিংসা আন্দোলনকারীর সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করেন ।
 "পাখতন" নামে একটি সংবাদপত্রের প্রকাশনা করেছিলেন ।
 ভারত সরকারের দ্বারা ১৯৮৭ সালে ওনাকে ভারতরত্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয় ।
 ▣ ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ঃ
 উনি যোগদান করেছিলেন স্বদেশী আন্দোলনে । চম্পারন সত্যাগ্রহ , অসহযোগ আন্দোলন , আইন অমান্য আন্দোলন এনং ভারত ছাড়ো আন্দোলন ।
 উনি পাটনায় জাতীয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ।
 উনি গণপরিষদের প্রথম সভাপতি ছিলেন ।
 উনি দেশ (হিন্দি সাপ্তাহিক) সংবাদপত্রের সম্পাদনা করেছিলেন ।
 উনি প্রথম রাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন ইন্ডিয়ান রিপাবলিকের । 
 ওনাকে ১৯৬২ সালে ভারতরত্ন পুরস্কারে ভূষিত করা হয় ।
▣ লালা লাজপত রায় ঃ
 লালা লাজপত রায় ছিলেন খুব সাহসী লোক তাই তাঁকে "লায়ন অফ পাঞ্জাব" বলা হত ।
 তিনি আর্য সমাজের সদ্যস্য হয়ে "ডাভ কলেজ" -এর প্রতিষ্ঠার জন্য সাহায্য করেছিলেন ।
 ১৯২০ সালে কলকাতার কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে তিনি সভাপতি ছিলেন ।
 তিনি ১৯২২ সালে অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করার বিরোধিতা করেন । তিনি মতিলাল নেহেরু এবং সি . আর . দাসের সাথে যৌথভাবে স্বরাজ্য পার্টির প্রতিষ্ঠা করেন ।
 ১৯২৮ সালে তিনি সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে বিরোধিতা প্রদর্শন করতে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলেন ।
 তিনি "বন্দেরমাতরম" এবং "দি পাঞ্জাব এন্ড দ্য পিউলিপ" পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ।
▣ গোপাল কৃষ্ণ গোখলে ঃ
 গান্ধীজী তাঁকে রাজনীতির গুরু হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন ।
 ১৯০৫ সালে তিনি বেনারস অধিবেশনের আই . এন . সি.-এর সভাপতি ছিলেন এবং তিনি স্বদেশী আন্দোলনের সমর্থন করেছিলেন ।
 তিনি ১৯০৫ সালে "সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়ান সোসাইটি" -র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।
 তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মানুষদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার , যারা জাতীয় মিশনারী হয়ে কাজ করছেন ।
 তিনি জার্নাল "সুধারক" -এর সম্পাদক ছিলেন ।
         
          আজকে আমরা ভারতের কিছু জনপ্রিয় জাতীয় নেতাদের সম্পর্কে জানলাম । তোমাদের পোস্টটি কেমন লাগলো মতামত জানাতে ভুলবেনা । এই রকম গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট গুলি সবার আগে পেতে সাইটের উপরে দেওয়া টেলিগ্রাম ও Whatsapp লিঙ্কে করে জয়েন হয়ে যাও । ধন্যবাদ , তোমার দিনটি শুভ হোক । 

No comments:

Post a Comment