Breaking




Saturday 10 July 2021

একনজরে লোকসভার স্পিকার ।। Lok Sabha Speaker

একনজরে লোকসভার স্পিকার ।।  Lok Sabha Speaker 

একনজরে লোকসভার স্পিকার ।।  Lok Sabha Speaker 
ডিয়ার ভিসিটর,
আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো লোকসভার স্পিকার সম্পর্কে । আমরা অনেকই আছি যারা লোকসভার স্পিকার সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানিনা , স্পিকারের কি কি ক্ষমতা ,স্পিকার কিভাবে নিযুক্ত হন,কিভাবে পদচ্যুতি হয় ইত্যাদি , তাই আর দেরি না করে চলুন পরে নিই স্পিকার সম্পকে । 
ভুমিকা

ভারতের স্পিকারের ভুমিকা সংসদীয়  শাসন ব্যবস্থায় খুবি গুরুত্বপূর্ণ । লোকসভা নির্বাচনের পর নব গঠিত সভার সদস্যরা নিজেদের মধ্যে থেকে এক জনকে স্পিকার নির্বাচন করেন (৯৩ নং ধারা) । স্পিকারের ক্ষমতার উৎস হল ভারতের সংবিধান এবং লোকসভার কাজকর্ম পরিচালনার বিধি । লোকসভার সভাপতি হিসাবে স্পিকার সমগ্র জাতি স্বাধীনতার প্রতীক , স্পিকারের কোন সিদ্ধান্তকে আদালতে আপিল করা যায় না । নিম্নে স্পিকারের প্রধান কাজ গুলি আলোচনা করা হল ।
ক্ষমতা ও  কার্যাবলী

আমরা এখন স্পিকারের ক্ষমতা ও কাজ গুলি সম্পর্কে জানবো , তার সঙ্গে জানবো স্পিকারের কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আছে ---

১} প্রশাসনিক কার্য ঃ- সভায় কোন কোন প্রস্তাব উপস্থাপন হবে , কি ধরনের প্রশ্ন করা হবে , কোন সংশোধনী প্রস্তাব বৈধ কিনা , কোন কোন নোটিশ আলোচনার জন্য গ্রহন করা হবে ইত্যাদি বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তই চুরান্ত।

২}সভার শান্তি রক্ষা করা ঃ- (ক) সভায় বক্তিতা দেবার ব্যাপারে এবং দৃষ্টি  আকর্ষণী প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য সদস্যদের অবশ্যই স্পিকারের কাছে অনুমতি নিতে হয় ।
 (খ) সদস্যদের বক্তব্য একই বিষয়ে রিপিট ও অপ্রাসঙ্গিক বা অশালীন মন্তব্য এবং আপত্তিকর আচরণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতি স্পিকারের বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখে ।
 (গ) লোকসভায় খারপ আচরণ করলে স্পিকার সাময়িক ভাবে সভা মুলতুবি করে দিতে পারে।

৩} লোকসভার সদস্যদের আধিকার রক্ষা ঃ- (ক) সদস্যদের আধিকার ভঙ্গ বা লোকসভার অবমাননার দায়ে তিনি যে কোন ব্যেক্তি বা সাংসদের বিরুদ্ধে প্রযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে ।
(খ) লোকসভার অবমাননার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সাংসদকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারে ।
(গ) স্পিকারের অনুমতি ছাড়া লোকসভায় কোন সদস্যকে সভার ভেতর থেকে গ্রেফতার করা যায় না ।

৪} অর্থবিল সংক্রান্ত ক্ষমতা ঃ-  কোন বিল অর্থবিল কিনা তা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে স্পিকারের সিদ্ধান্ত চুরান্ত । তাছাড়া লোকসভায় আনুমদনের পর অর্থবিলটিকে যখন রাজ্য সভায় পাঠানো হয় তখন বিলটি যে একটি অর্থবিল সে সম্পর্কে স্পিকার একটি প্রমান পত্র দিয়ে থাকে ।

৫} লোকসভা  ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে সংযোগ রক্ষাঃ- লোকসভা ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে স্পিকার সংযোগ রক্ষা করে থাকেন । রাস্ত্রপতির দেওয়া বানী  , বক্তব্য , বার্তা ইত্যাদি স্পিকার নিজে লোকসভায় উপস্থাপন করেন । আন্যদিকে আবার রাষ্ট্রপতির কাছে লোকসভার বক্তব্য স্পিকারের মাধ্যমে পেশ করা হয় ।

৬} কোরাম সম্পর্কিত আলোচনা ঃ-  লোকসভায় কোরাম না হলে অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য উপস্থিত না থাকলে ১/১০ অংশ । তিনি সভার কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে পারেন ।

৭} গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ঃ- যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সদস্যদের অবহিত করার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি  নিয়ে স্পিকার  সভায় আলোচনা করতে পারে । তাছাড়া কোন সদস্য যদি হিন্দি না ইংরাজি ভাসায় বক্তব্য না দিতে পারলে তাকে তার মাতৃ ভাসায় বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দিতে পারে ।

৮} যৌথ আধিবেশনের সভাপতিত্ব করা ঃ-   সভার উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশের স্পিকার সভাপতিত্ব করেন তাঁর নির্দেশে মতে যৌথ অধিবেশনের কাজ স্থির হয় ও প্রযুক্ত হয় ।

৯} ভোটদান সম্পর্কিত ক্ষমতা ঃ-  লোকসভায় কোন ব্যাপারে ভোট গ্রহন করা হলে যদি পক্ষে ও বিপক্ষে সমান সংখ্যক ভোট পরে তাহলে তিনি একটি নির্ণায়ক ভোট দিয়ে অচল অবস্থার অবসান ঘটাতে পারেন ।

১০} সদস্যপত্র খারিজঃ-  সদস্যদের পদত্যাগপত্র স্পিকারের কাছেই জমা দিতে হয় দলত্যাগ বিরোধী আইন অমান্য করলে অভিযুক্ত সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল করে দেওয়ার ক্ষমতা স্পিকারের আছে ।
স্পিকারের পদমর্যাদা   
ভারতের সংবিধানে স্পিকারের পদটিকে যথেষ্ট মর্যাদা দেওয়া হয়েছে । সংবিধান রচয়িতারা স্পিকারের পদটিকে যতটা সম্ভব স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভাবে গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন , সংসধিয় গনতন্ত্রের ক্ষমতাশীল দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভুমিকা আছে । স্পিকারের নিরপেক্ষতা বিরোধী দলকে উপযুক্ত ভুমিকা পালনের সুযোগ দেয় । স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভাবে সভা পরিচালনা করে স্পিকারের বিরুধে দলগুলি আস্থা অর্জন করতে হয়।
উপসংহার 

আসলঅর্থে লোকসভার সভাপতি হিসাবে স্পিকারের পদকে অবশ্যই ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের অত্যন্ত অপরিহার্য হিসাবে অভিহিত করা হয় । লোকসভার অভিভাবক রুপে তাঁর সদর্থক ভুমিকার উপর ভালো সংসদীয় বারতাবরন গড়ে ওঠার বিষয়টি নির্ভরশীল । 

No comments:

Post a Comment