Breaking




Friday 9 July 2021

একনজরে হাইকোর্ট

একনজরে হাইকোর্ট || High Court Details

একনজরে হাইকোর্ট
একনজরে হাইকোর্ট


ডিয়ার ভিসিটর,
আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি রাজ্যের হাইকোর্ট । আমরা অনেকেই আছি যারা হাইকোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানিনা । তাই আজকে আমরা হাইকোর্ট সম্পর্কে জানবো । 

                                                                গঠন
 
আমরা অনেকই জানি রাজ্যের বিচার বিভাগের শীর্ষে হাইকোর্টের আবস্থান।সংবিধান আনুসারে প্রতিটি আঙ্গরাজ্যে একটি করে হাইকোর্ট থাকবে (২১৪ নং ধারায়)।তবে পার্লামেন্ট আইন প্রনয়ন করে দুই বা ততোধিক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের জন্য একটি হাইকোর্ট গঠন করতে পারে (২৩১(১) নং ধারা) । বর্তমানে ভারতে ২৫টি হাইকোর্ট আছে প্রতিটি হাইকোর্টে একজন প্রধান বিচারপতি ও অন্য কয়েকজন বিচারপতি নিয়ে গঠিত হয় (২১৬ নং ধারা) । অন্যান্য বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণ করেন রাষ্ট্রপতি । 

হাইকোর্টের বিচারপতি হতে হলে তাকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে যে কোনো বিচার বিভাগীয় পদে কমপক্ষে ১০ বছর আসীন থাকতে হবে আথবা আন্তত ১০ বছর কোণ  হাইকোর্ট বা দুই ততোধিক এই ধরনের আদালতে একাধিক ক্রমে অ্যাডভোকেট হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে (২১৭ (২) নং ধারা )।
বিচারপতিরা রাষ্ট্রপতির দ্বারা নিযুক্ত হন । সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গে পরামর্শ ক্রমে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের বিছারপতিদের নিয়োগ করেন। বিচারপতিগণ ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত স্বপদে বিরাজমান থাকেন ।


                                                    হাইকোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলী 

রাজ্যের বিচার বিভাগের শীর্ষে অবস্থিতি হাইকোর্ট হল রাজ্যের সবথাকে বড়ো আপিল আদালত । সংবিধানে হাইকোর্টের ক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো উল্লেখনেই , তবে সংবিধান ও উপযুক্ত আইন সভা দ্বারা রচিত আইনের সীমার মধ্যে থেকে হাইকোর্টকে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হয় (২২৫ নং ধারা) ।

হাইকোর্টের ক্ষমতা গুলিকে মুলত তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয় , তার সঙ্গে আমরা আরকিছু ক্ষমতা বিস্তারিত ভাবে জানব-

১} মুল এলাকাভুক্ত ক্ষমতা ঃ- মুল এলাকার অর্থ হল সরাসরি মামলা দায়ের করার ক্ষমতা । রাজ্যস্ব সংক্রান্ত সব বিষয়ই হাইকোর্টের মুল এলাকা ভুক্ত ক্ষমতার আন্তরভুক্ত । অনেক ক্ষেত্রে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাকেও মুল এলাকার আন্তরভুক্ত বলে মনে করা হয়  , তবে সব হাইকোর্টের মুল এলাকাভুক্ত ক্ষমতা নেই । 

২} আপিল এলাকাভুক্ত ক্ষমতা ঃ- হাইকোর্ট  হল রাজ্যের সবথেকে বড়ো আপিল আদালত । দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে হাইকোর্টে আপিল করা হয় । 
দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে - (ক) জেলাজর্জ ও সহকারি জেলাজর্জের পদ ও রায়ের বিরুধে হাইকোর্টে আপিল করা যায় ।
(খ) আবার কোনো আধস্তন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা যায় ।
(গ) তাছাড়া হাইকোর্টের কোনো বিচারকের একক রায় বা সিধান্তের বিরুদ্ধেও আপিল করা যায় ।
ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে - (ক) দায়রা জর্জ এবং আতিরিক্ত দায়রা জর্জ কোনো ব্যাক্তিকে ৭ বছরের বেশি কারাদণ্ড প্রদান করলে সেই রায়ের বিরুধে হাইকোর্টে আপিল করা যায় ।
(খ) সর্বোপরি হাইকোর্টের কোনো বিচারকের একক রায় বা সিধান্তের বিরুদ্ধেও হাইকোর্টে আপিল করা যায় ।

৩} নির্দেশ , আদেশ ও লেখ জারির ক্ষমতা ঃ-  নাগরিকদের মৌলিক আধিকার সংরক্ষণের গুরুদায়িত্ব হাইকোর্টের উপর দেওয়া হয়েছে । হাইকোর্ট এই আধিকার গুলি সংরক্ষণের জন্য পাঁচ ধরনের লেখো জারি করেছে (২২৬ নং ধারা) যেমন - ১. আধিকার পৃচ্ছা ২.উৎপ্রেষন ৩. বন্দি প্রত্যক্ষিকরন ৪. পরমাদেশ ৫. প্রতিষেধ ।

৪} আধস্তন আদালতের মামলা গ্রহন ঃ- আধস্তন কোন আদালতের কোন বিচারাধীন মামলার সঙ্গে সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত আইনের কোন গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন জরিত আছে এমন কোন মামলা হাইকোর্টে নিম্ন আদালত থেকে নিজের হাতে তুলে নিতে পারে (২২৮ নং ধারা )।

৫} নিয়ন্ত্রন সংক্রান্ত ক্ষমতা ঃ- জেলাজর্জের বদলি , নিয়োগ ও পদ্যোন্নতি প্রভৃতি বিষয়ে রাজ্যপাল হাইকোর্টের পরামর্শ গ্রহন করে থাকেন , তাছাড়াও অধস্তন আদালত সমুহের অন্যান বিচার বিভাগীয় পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল হাইকোর্টের পরামর্শ গ্রহন করতে পারে ।

  উপসংহার ঃ- অঙ্গরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত হিসাবে হাইকোর্টের  ভুমিকা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ । এই আদালত সর্বভারতীয় বিচার ব্যাবস্থার একটি অঙ্গ হাইকোর্টেরকে সুপ্রিমকোর্টের অধীনে থেকে সহায়ক আদালত হিসাবে বিচারকাজ সম্প্রাদন করতে হয় ।

No comments:

Post a Comment