Breaking




Wednesday, 5 June 2024

ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা কি করা হয় ? | ইডির উদ্ধার করা টাকা কোথায় যায় ? - না জানলে জেনে নিন

ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা কি করা হয় ? | ইডির উদ্ধার করা টাকা কোথায় যায় ? - না জানলে জেনে নিন

ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা কি করা হয় ?
ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা কি করা হয় ?
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমরা দেখতে পাচ্ছি বিগত বেশ কিছু বছর ধরে রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। যতদিন এগিয়ে চলেছে ততই প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক রহস্যময় তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে গতবছর থেকে রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। উদ্ধার হয়েছে কোটি-কোটি টাকা, শুধুই টাকা নয়, উদ্ধার করা হয়েছে বহু মূল্যবান গয়না, নথিপত্র এবং সম্পত্তি। কারোর কাছে রয়েছে দামি দামি গাড়ি, কারোর কাছে রয়েছে আবার একাধিক সম্পত্তি। কিন্তু এবার প্রশ্ন হল ইডির উদ্ধার করা এই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে কি করা হয় ?
আমরা যেটা দেখে থাকি বাজেয়াপ্ত টাকা সংশ্লিষ্ট এজেন্সি নিয়ে চলে যায়। তারপর সেই টাকা যে তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় না এটা সকলেই জানি।

ED-এর বাজেয়াপ্ত টাকা নিয়ে যা করা হয়- 

❏ নিয়ম অনুযায়ী, বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি এবং নথির একটি লিস্ট প্রথমে তৈরি করা হয়। এরপর কোন নোটে কত টাকা রয়েছে, এক একটি নোটের কতগুলি বান্ডিল রয়েছে সেগুলিও তালিকাভুক্ত করা হয় এবং  কোন বিদেশী নোট রয়েছে কিনা সেটাও খেয়াল করা হয়। এই গোনার কাজটা করে স্থানীয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যে শাখা থাকে তার কর্মীরা।

❏ স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মীরা সেখানে মোট কত টাকা আছে তা গোনার পাশাপাশি প্রতিটি বাজেয়াপ্ত নোটের নম্বর আলাদা করে লিস্ট করে আদালতে জমা দিতে হয়। এরপর একজন নিরপেক্ষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে বাজেয়াপ্ত অর্থ বাক্সবন্দি করা হয়। 

❏ এরপর একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা জমা রাখা হয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে খুলতে হয় এই অ্যাকাউন্ট যা ইডি-র এসপি (SP) পদমর্যাদা অফিসারের নামে খোলা হয়।

❏ অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করা হলেও তা ইডি, সিবিআই, আয়কর বিভাগ বা পুলিশ কেউই ব্যবহার করতে পারে না। কারণ যতক্ষণ না ঐ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে ততক্ষণ ওই অর্থে কেউ হাত দিতে পারবে না। তবে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের টাকা বাজারে খাটাতে পারে ব্যাঙ্ক।

❏ এরপর যার কাছ থেকে এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাকে সুযোগ দেওয়া হয় আয়ের উৎস প্রমাণ দেবের জন্য, ৪ মাসের মধ্যে সেই ব্যক্তি যদি প্রমাণ করে দিতে পারেন যে ওই অর্থ তিনি বৈধ পথে রোজগার করেছেন এবং তার স্বপক্ষে আয়কর জমা দেওয়া আছে, তাহলে সেক্ষেত্রে সুদ সহ টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হয় ব্যাংকে। তবে টাকা যদি অবৈধ প্রমাণ হয় সেক্ষেত্রে বাজেয়াপ্ত টাকা সরাসরি ভারত সরকারের কোষাগারে চলে যায়।

❏ অতএব ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা ভারত সরকারের কোষাগারে জমা হয় যেটা সরকারি কোষাগারে আয়ের একটা অন্যতম উৎস হিবে মনে করা যায়। 



No comments:

Post a Comment