Breaking




Thursday, 18 April 2024

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য - নাম | ছবি | সংক্ষিপ্ত তথ্য

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য - নাম | ছবি | সংক্ষিপ্ত তথ্য

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য - নাম || ছবি || সংক্ষিপ্ত তথ্য
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য - নাম || ছবি || সংক্ষিপ্ত তথ্য
নমস্কার বন্ধুরা,
তোমাদের সঙ্গে আজকে আমরা শেয়ার করছি, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য PDF এই দরকারি পোস্টটি নিয়ে। যে পোস্টটির মধ্যে আমরা উপরে উল্লেখিত তথ্য খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে তোমাদের সামনে তুলে ধরছি। যে তথ্য গুলি তোমাদের সাধারণ জ্ঞান এবং চাকরীর পরীক্ষার ক্ষেত্রে দারুন ভাবে কাজে আসবে।
তাই তোমরা আর দেরি না করে নীচে দেওয়া তথ্য গুলি খুব ভালোভাবে দেখে নাও এবং যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই এই পোস্টটির PDF -টিও সংগ্রহ করে রাখতে পারো, যার লিংক নীচে দেওয়া আছে। 

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য সমূহ

০১. চীনের মহাপ্রাচীর – (চীন) :
চীনে অবস্থিত এই মহাপ্রাচীরটি হল পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাচীর। চীনের উত্তর সীমান্ত রক্ষার জন্য এই প্রাচীরটি নির্মিত হয়। কিন শি হুয়াং এর সময়ে এটির নির্মাণপর্ব সমাপ্ত হয় (২২০-২০৬ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ), এটির দৈর্ঘ্য হল ২১,১৯৬ কিলোমিটার।
চীনের মহাপ্রাচীর – (চীন)
০২. পেত্রা – (জর্ডন) :
এই আশ্চর্য পেত্রা জর্ডানের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর ওয়াদি মুসার ঠিক পূর্বে হুর পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। ৪০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতীয় রাজ্যের রাজধানী। একসময় এই পেত্রা নগরী মূলত একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দুর্গ ছিল। এটি বিখ্যাত এর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভগুলোর জন্য। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো পেত্রাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে ঘোষনা করে।
পেত্রা – (জর্ডন) 
০৩. দ্য রোমান কলোসিয়াম – (ইতালি) :
ইতালির রোম শহরে অবস্থিত একটি বৃহৎ ছাদবিহীন মঞ্চ। এটি সাধারনত বিভিন্ন প্রদর্শনী এবং কোনো প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল বলে ধারনা করা হয়। ৭০ থেকে ৭২ খ্রিস্টাব্দে কোন এক মাসে কোনো এক সময় এটি নির্মানের কাজ শুরু হয়েছিল। ৮০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট তিতুসের রাজত্ব কালে এর কাজ সম্পন্ন হয়। কলোসিয়ামের উচ্চতা ৪৮ মিটার, দৈর্ঘ্য ১৮৮ মিটার এবং চওড়া ১৫৬ মিটার।
দ্য রোমান কলোসিয়াম – (ইতালি) 
০৪. চিচেন ইৎজা – (মেক্সিকো) :
চিচেন ইৎজা মেক্সিকোর উত্তরে ইউকাটান উপদ্বীপে অবস্থিত মায়া সভ্যতার একটি বড় শহর। এই শহরটির আয়তন ছিল ১০০ বর্গ কিলোমিটার। অনুমান করা হয় প্রায় ১৪০০ বছর আগে ৬০০ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। এই চিচেন ইৎজার কেন্দ্রে অবস্থিত ছিল একটি পিরামিড। এটা প্রি-কলাম্বিয়ান যুগের একটি কেন্দ্রবিন্দু। এই পিরামিড টি মূলত সূর্য দেবতার মন্দির হিসেবে পরিচিত ছিল। এই মন্দিরটি চিচেন ইৎজার প্রতীক।
চিচেন ইৎজা – (মেক্সিকো)
০৫. মাচু পিচু – (পেরু) :
মাচুপিচু পেরুর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান। এটি কোস্কো থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ২৪০০ মিটার উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। এটি ১৪৫০ সালের দিকে নির্মিত হয়, কিন্তু এর এক শ বছর পর ইনকা সভ্যতা যখন স্পেন দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন এটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। কয়েক শ বছর অজ্ঞাত থাকার পর ১৯১১ সালে Hiram Bingham নামে এক মার্কিন ঐতিহাসিক এটিকে আবার সমগ্র বিশ্বের নজরে নিয়ে আসেন। তারপর থেকে মাচু পিচু পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণী দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। এটিকে ১৯৮১ সালে পেরুর সংরক্ষিত ঐতিহাসিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ইউনেস্কো ১৯৮৩ সালে এটিকে তাদের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
মাচু পিচু – (পেরু)
০৬. তাজমহল – (ভারত) :
ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে।
তাজমহল – (ভারত)
০৭. ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি – (ব্রাজিল) :
এটি ব্রাজিলের দক্ষিণপূর্ব শহর রিও ডি জেনেরিও -তে যিশুর একটি বিশাল মূর্তি।  পাহাড়ের চূড়ায় যিশু দুহাত প্রসারিত করে আছেন। যেই পাহাড়টিতে মূর্তিটি রয়েছে সেটির উচ্চতা প্রায় ৭১৩ মিটার বা ২৩৪০ ফুট। ১৯২১ সালে এই মূর্তিটি তৈরীর কাজ শুরু করা হয় এবং ১৯৩১ সালে এটি নির্মাণের কাজ শেষ হয়। এই মূর্তিটির প্রধান নির্মাতা ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি। সম্পূর্ণ গ্রানাইট দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল এই মূর্তিটি। মূর্তিটির উচ্চতা ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট। এবং এক একটি হাতের দৈর্ঘ্য ২৮ মিটার বা ৯২ ফুট।
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি – (ব্রাজিল)
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য PDF টি সংগ্রহ করতে নীচের Download Now-লেখায় ক্লিক করুন
File Details ::  

File Name: পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য

File Format:  PDF

No. of Pages:  03

File Size:  256 KB


No comments:

Post a Comment