Breaking




Wednesday 12 April 2023

কোলেস্টেরল কি ? কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনের খাদ্য তালিকা

কোলেস্টেরল কি ? কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনের খাদ্য তালিকা

কোলেস্টেরল কি ? কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনের খাদ্য তালিকা
কোলেস্টেরল কি ? কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনের খাদ্য তালিকা
নমস্কার বন্ধুরা,
আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি পড়াশোনার বাইরে একটি খুবই দরকারি তথ্য সম্পর্কে। আজকের পোস্টটি আপনারা অবশ্যই ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ে রাখবে যাতে তোমাদের এবং তোমার পরিবারের পক্ষে সুবিধা হয়। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়টি হল, কোলেস্টেরল কি ? কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনের খাদ্য তালিকা আমরা আজকে এই পোস্টটি শেয়ার করছি, কারন এখন আমরা প্রায় সবাই এই রকম খারাপ অভ্যাসের স্বীকার হয়েছি যে আমাদের খাবারের অভ্যাসকে কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রনে রাখিনা। বিভিন্ন রকম মশলা যুক্ত খাবার প্রতি নিয়ত খেয়ে চলেছি। 
তাই আমরা এই রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি, যেমন অতিরিক্ত ফ্যাট বেড়ে যাওয়া, সুগার বেড়ে যাওয়া, একটু বয়স হলেই হার্ট অ্যাটাক এবং আরও অন্যান্য বড়ো বড়ো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

কোলেস্টেরল কি ?
কোলেস্টেরল হল তেল জাতীয় বা চর্বিজাতীয় পদার্থ যা আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষ এর গঠনের জন্য এবং তাদের ভালোভাবে কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।

তাই রক্তে কোলেস্টেরল মানেই যে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক তা একেবারেই নয়। বরং আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষ তৈরীর জন্য এবং ভিটামিন, হরমোন তৈরী হবার জন্য কোলেস্টেরল একান্ত প্রয়োজন। 

তাহলে সমস্যা কোথায় ?

আসলে আমাদের শরীরে রক্তে কোলেস্টেরল এর উৎস – দুই টি। আমাদের লিভার বা যকৃৎ আমাদের শরীরের জন্য যতটুকু কোলেস্টেরল দরকার তা বানিয়ে নেয়, তাই লিভার হলো প্রথম উৎস।

মূল সমস্যা হলো দ্বিতীয় উৎস নিয়ে। সেটি হলো আমাদের বিভিন্ন রকম মশলা যুক্ত খাবারের প্রতি লোভ ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস।

অত্যাধিক পরিমানে প্রাণীজ খাদ্য উপাদান যেমন মাংস, ডিম, পোল্ট্রি প্রোডাক্টস, ডেয়ারি প্রোডাক্টস খেলে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল আমাদের শরীরে ঢোকে ও রক্তের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে থাকে এবং স্বাভাবিক ভাবেই রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেড়ে যায়। 

মাংস, ডিম, পোল্ট্রি প্রোডাক্টস, ডেয়ারি প্রোডাক্টসে থাকে কিছু স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট যা কিনা লিভারকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কোলেস্টেরল তৈরী করতে বাধ্য করে। 

বেশ কিছু ভোজ্য তেল; যেমন পাম তেল, নারকেল তেল প্রভৃতির মধ্যে বিভিন্ন ধরণের স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। 

আর যেহেতু বেশিরভাগ কেক বা ডেয়ারি পণ্য তে তেল ব্যবহার করা হয় তাই ডেয়ারি প্রোডাক্টস ও কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে।

কোলেস্টেরল কমানোর উপায় কি ?
প্রধান উপায় হলো – (১) মশলা যুক্ত খাবারের প্রতি নিজেকে সংবরন, (২) আত্ম নিয়ন্ত্রণ ও (৩) দৈনিক পরিশ্রম। 

রোজ ভাজাভুজি, তেলেভাজা, অত্যধিক তেল মশলা দিয়ে রান্না খবর পরিত্যাগ করতেই হবে, কারণ আমাদের দৈনিক জীবনযাত্রা এমন ই বাজে জায়গায় পৌঁছে গেছে যে রোজগার কাজকর্মে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়লেও শরীরের যে পরিমান খাবার আমরা ঢোকাচ্ছি তা বার্ন আউট করতে পারছিনা।

তাই কায়িক পরিশ্রমের অভাবে তেলেভাজার তেল রক্তনালীর গায়েই এঁটে বসছে এবার তাকে সরাতে ওষুধ খেতেই হবে!

তাই নিয়ন্ত্রণ রাখুন খাবার অভ্যাসের উপর।(চপের দোকানির সংসার চললো কি চললো না তা দেখার দায় আপনার নয়।)

প্রতিদিন অন্ত আধা ঘন্টা হাঁটুন, শুয়ে বসে থাকা চলবেনা, শরীরে ইচ্ছে না হলেও রাস্তায় বের হন, গৃহবধূরা বেশি করে সচেতন হোন , বাড়ির কাজে যে পরিশ্রম হয় তাতে ক্লান্তি আসে ঠিকই কিন্তু ক্যালোরি বার্ন আউট হয় না।

তাই বিশ্বাস করুন হাঁটতে আপনাকে হবেই , সমস্ত কাজ সামলেও অবশ্যই রোজ হাঁটতে যান। 

কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা
কি কি খাবেন না –

তেলেভাজা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা , কারণ এই সব খাবার বানাতে হাইড্রোজেনেটেড তেল ব্যবহার করা হয় যাতে LDL কোলেস্টেরল/ ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এর মাত্রা রক্তে বেড়ে যায়। 

কেক, প্যাস্ট্রি, সফটড্রিংক খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এগুলিতে প্রচুর পরিমান added সুগার থাকে যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়। 

ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খাবার চেষ্টা করুন অর্থাৎ শুধু সাদা অংশ খান, খুব সমস্যা হলে সপ্তাহে ২-৩ টি ডিম্ কুসুম সহ খেতে পারেন। 

রেড মিট খাওয়া এড়িয়ে চলুন। মাসে ১ বার বা ২ মাসে একবার খাওয়া যেতে পারে। প্রসেসেড মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। 

ফুল ফ্যাট মিল্ক, ডেয়ারি প্রোডাক্ট খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন, রোজ একেবারেই খাবেন না।

মাখন-ঘি সপ্তাহে কদিন খেতে পারেন ? (সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করাই ভালো কারণ আমরা ইতিমধ্যেই যা যা খাবার খাই রোজ তার মধ্যে যথেষ্ট পরিমান ফ্যাট আছে )। 

সাদা ময়দা, ময়দার পাউরুটি এড়িয়ে চলুন বা কম খান। 

কি কি খাবেন –

শাক – সবজি পর্যাপ্ত পরিমানে খান কারণ সবজির মধ্যে এমন গুণ আছে যাতে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কে বের করে দিতে পারে। 

ফল খান প্রতিদিন অন্তত যে কোনো একটা। ভিটামিন সি যুক্ত ফল বা সবজি রোজের খাবারে রাখুন।

মাছ হলো এমন একটি খাবার যা আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই রোজ মাছ খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। কোলেস্টেরল এর মাত্রা রক্তে কমিয়ে রাখতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এরকম মাছ ও খেতে পারেন। আটার রুটি, পাউরুটি খান। 

অতএব আপনারা উপরের পোস্টটি খুব ভালোভাবে পড়ে নিন এবং নিজেকে বাঁচাতে এবং নিজের পরিবারকে বাঁচাতে অবশ্যই এই সমস্থ উপকারী অভ্যাস গুলি তৈরি করুন এখনও যে সমস্থ খারাপ অভ্যাস গুলি আছে এক্ষুনি ত্যাগ করুন। 

No comments:

Post a Comment