Breaking




Wednesday 13 July 2022

জোট নিরপেক্ষ নীতি কাকে বল ? জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য

 জোট নিরপেক্ষ নীতি কাকে বল ? জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য 

জোট নিরপেক্ষ নীতি কাকে বল ? জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য
জোট নিরপেক্ষ নীতি কাকে বল ? জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য 
ডিয়ার HS পরীক্ষার্থী..
আমরা আজকে তোমাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের একটি খুবি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরলাম। আজকের সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হল, জোট নিরপেক্ষ নীতি কাকে বল ? জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য। তোমরা অতি মনোযোগ সহকারে প্রশ্নটি মুখস্থ করে নাও।

 জোট নিরপেক্ষ নীতি কাকে বলে ? 

উত্তর ঃ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জোট নিরপেক্ষতা একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলির জোট এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গুলিকে জোটের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হলে বিশ্ব রাজনীতিতে দ্বিমেরুকরন ঘটে। এই অবস্থায় তৃতীয় দুনিয়ার দেশগুলি নিজেদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কোনো শক্তি জোটে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে, এইভাবে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটে।

 জোট নিরপেক্ষ নীতির উৎস ঃ

জোট নিরপেক্ষতা আন্দোলনের প্রধান প্রবক্তারা হলেন, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, যুগোশ্লভিয়ার টিটো, মিশরের রাষ্ট্রপতি নাসের, ১৯৬১ খ্রিঃ এ জোট নিরপেক্ষ দেশগুলির আন্দোলনের প্রথম সূচনা হয় বেলগ্রেট শীর্ষ সম্মেলনে এই সম্মেলনে ২৫টি রাষ্ট্র যোগ দেয়। 

বার্টার বলেছেন,- "জোট নিরপেক্ষতা বলতে বোঝায় সোভিয়েত উইনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোষ্ঠীর প্রভাব মুক্ত হয়ে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ করা।"

 জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ঃ 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্বের রাজনৈতিক শক্তি বিনাশের বার্তাবরনে বিশ্বের পরস্পর বিরোধী দুটি শক্তি জোটের উদ্ভব হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের শক্তি জোটের সঙ্গে সম-দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাধীন নীতি নির্ধারণের ব্যাপারে আগ্রহী তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে সরিক হয়েছিল। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি হল নিম্নরূপ-

সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিকতার বিরোধ ঃ জোট নিরপেক্ষতার অর্থ বিশ্বের সমস্ত রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখে নিরপেক্ষ বা নিঃসঙ্গ থাকা নয়, বরং সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ, বর্ণ বৈষম্য প্রভৃতির বিরিদ্ধে থেকে শান্তিপূর্ণ সহবস্থান রচনা করাই হল জোট নিরপেক্ষ। 

❐ আন্তর্জাতিক শান্তির সহায়ক ঃ শান্তিপূর্ণ ভাবে পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে না উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মোকাবিলা করার পথ প্রশস্ত করে জোট নিরপেক্ষতা। আন্তর্জাতিক বিবাদ, যুদ্ধ ভীতি প্রভৃতির পাশাপাশি কোনো দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপও করতে আগ্রহী নয় জোটে নিরপেক্ষ দেশগুলি।

❐ পারস্পরিক সহযোগিতা ঃ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে যুক্ত প্রতিটি রাষ্ট্র পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান-এ স্বচেষ্ট হবে এর ফলে বিশ্বের শান্তির বারতাবরন রচিত হয়। 

❐ ভৌগলিক অখণ্ডতার রক্ষা ঃ জোট নিরপেক্ষ দেশগুলি নীতিগত ভাবে ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল থাকে। 

❐ প্রাগতিশীল পররাষ্ট্রনীতির সহায়ক ঃ জোট নিরপেক্ষ হল পররাষ্ট্রনীতি গ্রহনের একটি পন্থা পদ্ধতি এই নীতির মাধ্যমে জোট নিরপেক্ষ দেশগুলি প্রগতিশীল পররাষ্ট্রনীতি গ্রহন করতে স্বক্ষম। 
------ ধন্যবাদ ------
 

No comments:

Post a Comment