সালোকসংশ্লোষের সংজ্ঞা,বৈশিষ্ট্য এবং শ্রেণীবিভাগ
আজকে তোমাদের সামনে আলোচনা করতে চলেছি জীবন বিজ্ঞানের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে। আজকে আমরা আলোচনা করবো উদ্ভিদের সালোকসংশ্লোষের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য এবং শ্রেণীবিভাগ, যেটা আমাদের সাধারণ জ্ঞান এর পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে খুবি কাজের।
সুতরাং আর বেশি সময় নষ্ট না করে , সালোকসংশ্লোষের সম্পূর্ণ বিষয়গুলি কে জানতে নীচের লেখেগুলি পড়েনাও ।
সালোকসংশ্লেষঃ
সালোকসংশ্লেষের সংজ্ঞা
যে জটিল জৈবনিক প্রক্রিয়ায় ক্লোরোফিল যুক্ত সজীব কোশ নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোকশক্তির উপস্থিতিতে ক্লোরোফিলের সহায়তায় পরিবেশ থেকে শোষিত জল ও CO2–র বিক্রিয়ায় সরল শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে এবং গৃহীত CO2 –র সমঅণু অক্সিজেন ও জল উপজাত পদার্থ রূপে ত্যাগ করে তাকে সালোকসংশ্লেষ বলে।
সালোকসংশ্লেষের বৈশিষ্ট্যঃ
ক. সালোকসংশ্লেষ একটি জটিল জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া।
খ. শুধুমাত্র ক্লোরোফিল যুক্ত কোশেই ঘটে।
গ. প্রধানত তরল শর্করা এই প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়।
ঘ. উপজাত বস্তু – অক্সিজেন ও জল।
উপজাত পদার্থরূপে অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ওপর নির্ভর করে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াকে দু-ভাগে ভাগ করা যায় –
01. অ্যানঅক্সিজেনিক সালোকসংশ্লেষঃ
সালোকসংশ্লেষকারী ব্যাকটেরিয়া এই প্রক্রিয়ায় অজৈব পদার্থ, যথা – H2O2 বা জৈব পদার্থ, যথা- অ্যাসিটোন জারণ করে CO2 বিজারণের জন্য হাইড্রোজেন সংগ্রহ করে।
02. অক্সিজেনিক সালোকসংশ্লেষঃ
উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদ ও শৈবাল হাইড্রোজেন দাতা হিসেবে জল ব্যবহার করে। জল জারিত হয়ে অক্সিজেন উৎপন্ন হয় এবং জলের হাইড্রোজেন অণু CO2 কে বিজারিত করে।
সালোকসংশ্লেষের স্থানঃ
পাতার মেসোফিল কলা, স্টিপিউল, সবুজ ব্র্যাকটস, সেপালস, থ্যালামাস ইত্যাদি।
সালোকসংশ্লেষের আলোক দশাঃ
আলোক দশার বিক্রিয়াগুলিকে ৪টি উপদশায় ভাগ করা যায়।
ক. ক্লোরোফিল অণু দ্বারা সৌরশক্তি শোষণ।
খ. সৌরশক্তির রাসায়নিক শক্তিরূপে ATP অণুতে আবদ্ধকরণ।
গ. জলের আলোক বিয়োজন ও অক্সিজেন নির্গমন।
ঘ. NADP+ বিজারণ।
আজকে আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে সালোকসংশ্লোষ সম্পর্কে জানলাম । তোমাদের পোস্টটি কেমন লাগলো অবশ্যই মতামত জানাবে। এই রকম গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলি সবার আগে পেতে সাইটের উপরে দেওয়া টেলিগ্রাম ও Whatsapp গ্রুপের লিঙ্কে ক্লিক করে জয়েন হয়ে যাও । ধন্যবাদ , তোমার দিনটি শুভ হোক ।
No comments:
Post a Comment