Breaking




Tuesday 12 July 2022

প্রাথমিক শিক্ষা ও স্ত্রী শিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগরের অবদান

 প্রাথমিক শিক্ষা ও স্ত্রী শিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগরের অবদান

প্রাথমিক শিক্ষা ও স্ত্রী শিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগরের অবদান
প্রাথমিক শিক্ষা ও স্ত্রী শিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগরের অবদান
ডিয়ার ছাত্রছাত্রী..
আমরা আজকে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান বিষয়ের প্রাথমিক শিক্ষা ও স্ত্রী শিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করবো। তাই তোমারা অতি মনোযোগ সহকারে পোস্টটি খুব ভালোভাবে পড়ে নাও এবং যদি লিখে নেবার হয় অবশ্যই লিখে নাও।

☄ প্রাথমিক শিক্ষা ও স্ত্রী শিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগরের অবদান-

উত্তর ঃঃ 

❐ স্ত্রী শিক্ষার বিস্তার ঃঃ ভারতবর্ষের নারিমুক্তির অন্দলনের অগ্রদূত ছিলেন বিদ্যাসাগর। সমাজের অর্ধেক অংশ নারীকে বাদ দিয়ে সমাজের উন্নতি করা যায় না-এই ছিল তার মূল ধারনা। তাই কেবলমাত্র পুরুষদের শিক্ষাই নয় তার পাশাপাশি স্ত্রী শিক্ষার জন্য বিদ্যাসাগরের চেষ্টা ছিল প্রবল। তাই তিনি স্ত্রী শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহী ছিলেন। 

❐ বেথুন স্কুল স্থাপন ঃ বেথুন সাহেব যখন শিক্ষা পরিষদের সভাপতি ছিলেন, তখন থেকেই বিদ্যাসাগর তার সহকর্মী হিসাবে কাজ করেছেন। ১৮৪৯ সালে মে মাসে বেথুন সাহেব কয়েকজন বাঙালি নেতার সাহায্যে মেয়েদের শিক্ষার জন্য অবৈতনিক একটি স্কুল স্থাপন করেন। ১৮৫০ সাল নাগাদ বিদ্যাসাগর এই স্কুলের দায়িত্ব গ্রহন করেন।

❐ বেথুন স্কুলের পুনর্গঠন ঃ বেথুন স্কুলের পুনর্গঠন সম্পর্কে বিদ্যাসাগর ১৮৫৬ সালে ২৪শে ডিসেম্বর "সংবাদ প্রভাকর" নামক পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেন, সেই বিজ্ঞাপনে তিনি স্ত্রী শিক্ষার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। তার ফলে অনেকেই স্ত্রী শিক্ষায় আগ্রহী হয়।

❐ বাংলায় পল্লী অঞ্চলে নারী শিক্ষার বিস্তার ঃ বিদ্যাসাগর বাংলার পল্লী অঞ্চলে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রস্তুত করেছিলেন এবং নারী শিক্ষার বিস্তারে সচেষ্ট হয়েছিলেন। ১৮৫৭ সালে তিনি নিজে জৌন গ্রামে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন।

❐ নারী শিক্ষার ভাণ্ডার ঃ সরকারি অনুদান ও আর্থিক সাহায্য না পাওয়ার ফলে বিদ্যালয় চালানো অসম্ভব। তাই বিদ্যাসাগর বিদ্যালয় গুলির আর্থিক সমস্যা সমাধানের জন্য নিজেই জনসাধারণের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নিয়ে বিদ্যালয় গুলি চালানোর জন্য নারী শিক্ষার ভাণ্ডার গঠন করেন।

❐ বিভিন্ন জেলায় বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন ঃ নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য বিদ্যাসাগর ১৮৫৮ সালে মেদনিপুর জেলায় ৩টি, বর্ধমান জেলায় ৪টি, হুগলী জেলায় ২০টি এবং নদীয়া জেলায় ১১টি সহ আরও অনেকগুলি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন।

❐ উপসংহার ঃ সুতরাং আলোচনা থেকে বলা যায় যে সমাজ সংস্কারক হিসাবে বিধবা বিবাহ আইন পাশ, বহু বিবাহ রোধ, বাল্য বিবাহের বিরোধিতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে তিনি নারীদের মুক্তি ঘটিয়ে ছিলেন। শুধু তাই নয় নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য তিনি বিভিন্ন জেলায় মেয়েদের বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন এবং গঠন করেছেন নারী শিক্ষার ভাণ্ডার। তাই বিদ্যাসাগরের নারী শিক্ষা প্রসারের অগ্রদূত বলা হয়।

----- ধন্যবাদ -----

No comments:

Post a Comment