Breaking




Wednesday, 27 July 2022

আইন কি ? আইনের উৎস গুলি কি কি ?

আইন কি ? আইনের উৎস গুলি কি কি ?

আইন কাকে বলে ? আইনের উৎস গুলি আলোচনা করো। || আইন কাকে বলে ? আইনের উৎস গুলি কি কি ?
আইন কি ? আইনের উৎস গুলি কি কি ?
নমস্কার বন্ধুরা.. .. 
আমরা আজকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ের চতুর্থ অধ্যায়ের একটি খুবি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন খুব সহজ করে দিচ্ছি, যে প্রশ্নটি পরীক্ষায় আসার সম্ভবনা অনেকটাই। তাই তোমরা অবশ্যই নোটটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ে নাও।

❐ আইন কাকে বলে ? 
 
উত্তর ঃঃ আইন কথাটি LAG বা LAY থেকে এসেছে। এই LAG বা LAY এর অর্থ হলো যা লিখিত এবং নির্দিষ্ট আকারে পাওয়া যায়, যার ইংরাজি প্রতিশব্দ LAW এর আক্ষরিক অর্থ হল, লিখিত এবং নির্দিষ্ট। 
 জন অস্টিনের মতে,"আইন সার্বভৌমের নির্দেশ।
❐ হল্যান্ডের মতে,''আইন হলো মানুষের বহীরজীবন সম্পর্কিত কত গুলি বিধিনিষেধ যা রাষ্ট্রীয় সার্বভৌম কর্তিক বলবত করা যায়।''
❐ উইলসনের মতে, "আইন হল মানুষের স্থায়ী আচার ব্যবহার ও চিন্তার সেই অংশ যা রাষ্ট্রের দ্বারা স্বীকৃত এবং যার পশ্চাতে রাষ্ট্রীয় কর্তিত্বের সুস্পষ্ট সমার্থক আছে।"
❐ ল্যাস্কির মতে,"রাষ্ট্র সৃষ্ট নিয়ম কানুন যা ব্যাক্তির কাছে ন্যায্য বলে বিবেচিত হয় তাই আইন।"
 
আইনের উৎস সমূহ 
 
 রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান আলচ্য বিষয় হল, আইন। কিন্তু আইন ব্যাবস্থা একদিনে গড়ে ওঠেনি সমাজ বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে নানা প্রকার উৎস থেকে আইন এর উৎপত্তি ঘটেছে। উৎস গুলি নিম্নরূপ-
 
 প্রচলিন প্রথা ঃ- প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থার সামাজিক প্রথা ও ঋতিনীতিকে লোকে আইন বলে মনে করত। সামাজিক জীবন যাত্রা নিয়ন্ত্রিত হতো প্রথার দ্বারা। প্রথা হলো সমাজ জীবন থেকে উদ্ভূত সেই সব নিয়ম কানুন, যে গুলি ব্যাক্তি বা সমষ্টির জীবন যাত্রাকে নিয়ন্ত্রিত করে। দীর্ঘকাল থেকে এই সব প্রথা গুলিকে মেনে চলতে চলতে মানুষ অভ্রস্ত হয়ে পরে। এই ভাবে প্রথা গুলি এক দিন আইনের স্বীকৃতি পায়।
 
 ধর্ম ঃ- প্রচলিত প্রথার মতো ধর্ম আইন সৃষ্টিতে সহায়তা করেছে। প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থা ধর্মীয় অনুশাসন দ্বারাই পরিচালিত হত। ধর্মীয় বিধিভঙ্গ কেবল নীতি বিরুদ্ধ ছিলনা, ছিল দ্বন্দনিয় অপরাধ। প্রাচীন সমাজ জীবন শৃঙ্খলা ও নিয়মানু বর্তিতা প্রতিষ্ঠা করে ছিল ধর্মীয় অনুশাসন।
 
 বিচারালয়ের রায় ঃ- বিচারালয়ের রায় অনেক সময় আইনের সৃষ্টি করে। অনেক সময় আইন ব্যাখা করতে গিয়ে বিচারকরা তাদের অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে সচেতন বা অচেতন ভাবে বহু নতুন আইনের জন্ম দেন। পরবর্তীকালে ওই আইন গুলি অনুরূপ বিরধের মিমাংসাকরে।
 
 ন্যায় বিচার ঃ- বিচারক গণের কাজ ন্যায় বিচার করা কিন্তু আইন স্বিতিশীল ও সমাজ জীবন গতিশীল বলে প্রচলিত আইনের অসম্পূর্ণতার জন্য অনেক সময় ন্যায় বিচার করা সম্ভব হয় না। এরূপ ক্ষেত্রে বিচারকগণকে নিজস্ব বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগ করে বিচারকার্য পরিচালনা করতে হয়, ফলে নতুন আইনের সৃষ্টি হয়।
 
 বিজ্ঞান সম্মত আলোচনা ঃ- গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক মন্তব্য গুলি অনেক সময় আইনের উৎস হিসাবে কাজ করে। বিভিন্ন সময় পণ্ডিত ব্যক্তিগন আইনের নানা প্রসঙ্গ আলোচনা কালে নিজ নিজ মন্তব প্রকাশ করতেন এবং পরবর্তী কালে সে গুলি আইনের মর্যাদা লাভ করে।
 
 আইন সভা ঃ- আধুনিক কালে আইন সভাকেই আইনের প্রধান উৎস হিসাবে গন্য করা হয়। আইন সভা যেহেতু জনগনের প্রতিনিধিত্ব মূলক সভা, তাই আইন সভা কৃতক গৃহিত আইন হলো জন মতের প্রতিফল বর্তমানে আধিকাংশ আইনই রচিত হয় আইন সভা দ্বারা।
 
 উপসংহার ঃ- আইনের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে সবথেকে প্রাচীন উৎস হল, প্রচলিত প্রথা বা ঋতি নীতি। পরবর্তী কালে বিচারালয়ের সিদ্ধান্ত এবং আধুনিক কালে আইন অঙ্গদের বিজ্ঞান সম্মত আলোচনা ো আইন সভা আইনের গুরুত্বপূর্ণ উৎসে পরিণত হয়েছে।
 
______ধন্যবাদ____

No comments:

Post a Comment