একনজরে মানুষের চোখ
বন্ধুগন ,
আজকে তোমাদের সামনে উপস্থাপন করবো মানব দেহের চোখ সম্পর্কে । আমরা সকলেই জানি চোখ আমাদের পক্ষে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের চোখকে সুরক্ষা দেওয়া ও চোখকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা । তাই আজকে তোমাদের সামনে উপস্থাপন করলাম মানবদেহের চোখ সম্পর্কে । আলোচনার বিষয় থাকবে চোখের প্রধান প্রধান অংশ , তাদের কাজ এবং চোখের কোন কোন রোগ হয় এবং কোথায় হয়।
সুতরাং আর সময় নষ্ট না করে মনোযোগ সহকারে জেনে নেওয়া যাক মানবদেহের চোখ সম্পর্কে।
মানুষের চোখ
আমরা এক এক করে চোখের বিভিন্ন অংশ গুলির সম্পর্কে জানবো এবং তার কাজ এবং সেইখানে কোন কোন রোগ হতে পারে জানবো।
☞ করনিয়া → প্রতিসারক মাধ্যমরুপে আলোক b রশ্মিকে কেন্দ্রীভূতকরে।
☞ কনজাংটিভা → করণিয়াকে রক্ষা করে।
☞ কোরয়েড → রেটিনাকে রক্ষা করে ও বিচ্ছুরিত আলোকের প্রতিফলন রোধ করে।
☞ রেটিনা → বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠনে সাহায্য করে।
☞ আইরিশ → তারারন্ধ্রকে বা পিউপিলকে ছোট ও বড় হতে সাহায্য করে।
☞ সিলিয়ারি বডি → লেন্সের উপযোজনে সাহায্য করে।
☞ লেন্স → আলোর প্রতিসরন করে আলোক রশ্মিকে রেটিনার উপর কেন্দ্রীভূত করে।
☞ পিউপিল → এর মাধ্যমে চোখে আলোক রশ্মি প্রবেশ করে।
☞ বলাইন্ড স্পট বা অন্ধবিন্দু → এখানে কোন প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না।
☞ ইয়োলো স্পট বা পীতবিন্দু → এখানে প্রতিবিম্ব গঠন সবচেয়ে ভালো হয়।
☞ রড কোশ ( রেটিনায় অবস্থিত) → মৃদু আলো শোষন করে।
☞ কোন্ কোশ ( রেটিনায় অবস্থিত) → উজ্জ্বল আলো ও বর্ন শোষন করে।
নানা রকম চোখ সম্পর্কিত তথ্য
☞ গলুকোমা রোগটি যুক্ত → চোখের সাথে।
☞ অপটিক স্নায়ু থাকে → চোখে।
☞ যে গ্রন্থি চোখের পাতাগুলিকে জুড়তে দেয় নীক → মেবোমিয়ান গ্রন্থি।
☞ যে রঞ্জক থাকায় চোখের কোরয়েডের রং কালো হয় → মেলানিন
☞ মানুষের চোখ পূর্ন আকার লাভ করে → ১৩ বছর বয়সে।
☞ অশ্রুতে অবস্হিত যে উৎসেচক জীবাণু ধ্বংস করে → লাইসসোজাইম।
☞ অন্ধকারে দেখতে সাহায্য করে → রডকোশ।
☞ যে সমস্ত প্রানীদের পুঞ্জাক্ষি দেখা যায় → মৌমাছি, মশা, মাছি ।
☞ ককুর, বিড়াল অল্প আলোতে স্পষ্ট দেখতে পাওয়ার কারন → রেটিনায় রড কোষের সংখ্যা বেশী থাকে বলে।
☞ সরলাক্ষি দেখা যায় → মাকড়সার।
☞ চোখ আলোক তরঙ্গ গ্রহণ করতে পারে → ৪০০ nm - ৭০০ nm .
☞ চোখের মনির রং নির্ভর করে → আইরিসের রংয়ের উপর।
☞ মানব দেহের ক্ষুদ্রতম পেশী যা চোখে অবস্থিত → সিলিয়ারী পেশী।
☞ ককুর, বিড়াল প্রভৃতি নিশাচর প্রানী লাল, নীল ও সবুজ রং দেখতে না পাওয়ার কারণ → কোন কোশের সংখ্যা কম থাকে বলে।
☞ চোখে কনজাংটিভা রোগটি হয় → ভাইরাস সংক্রমনে।
✯ চক্ষুর পরীক্ষা করার যন্ত্রের নাম → ১. রেটিনোস্কোপ, ২.অপথ্যালমোমিটার , ৩.অপথ্যালোমোস্কোপ।
✯ বর্ণন্ধতা → বর্ণন্ধতা তিন প্রকারের :
১. প্রোটোনোপিয়া → লাল রং সনাক্ত করতে না পারা।
২. ডিউটোরোনোপিয়া → সবুজ রং সনাক্ত করতে না পারা।
৩. ট্রাইট্যানোপিয়া → নীল রং সনাক্ত করতে না পারা।
✯ একনেত্র দৃষ্টি : যে সমস্ত প্রানীদের একনেত্র দৃষ্টি দেখা যায় → ব্যাঙ, গরু, ঘোড়া, প্যাঁচা।
✯ দবিনেত্র দৃষ্টি : দ্বিনেত্র দৃষ্টি দেখা যায় → মানুষ।
✯ মায়োপিয়া : যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয় কিন্তু নিকটের দৃষ্টি ঠিক থাকে তাকে মায়োপিয়া বলে।
প্রতিকার : মায়োপিয়া দূর করতে অবতল লেন্স ( Concave glass) নির্মিত চশমা ব্যবহার করা হয়।
✯ হাইপার মেট্রোপিয়া : যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ঠিক থাকে কিন্তু নিকটের দৃষ্টি ব্যহত হয় তাকে হাইপার মেট্রোপিয়া বলে।
প্রতিকার : হাইপার মেট্রোপিয়া দূর করতে উত্তল লেন্স ( Convex glass) দিয়ে তৈরি চশমা ব্যবহার করা হয়।
আজকে আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে জানলাম মানুষের চোখ সম্পর্কে । তোমাদের পোস্টটি কেমন লাগলো অবশ্যই তোমাদের মতামত জানাবে । আর এই রকম সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলি সবার আগে পেতে সাইটের উপরে দেওয়া টেলিগ্রাম ও Whatsapp লঙ্কে ক্লিক করে জয়েন হয়ে যাও । ধন্যবাদ , তোমার দিনটি শুভ হোক ।
No comments:
Post a Comment