ভারতের বিচার ব্যবস্থা এবং বিচারপতির তালিকা || ভারতের বিচার ব্যবস্থা বৈশিষ্ট্য
![]() |
ভারতের বিচার ব্যবস্থা বৈশিষ্ট্য |
বন্ধুগন,
আজকে আমরা তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করছি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তালিকা pdf এই পোস্টটি, যে পোস্টটির মধ্যে আমরা খুব সুন্দর এবং সহজ ভাবে ভারতের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে তোমাদের একটি সম্পূর্ণ ধারনা দেবার চেষ্টা করেছি। আমরা বিচার ব্যবস্থার এই পোস্টটির মধ্যে বিচার ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি তৎকালীন বিচারপতিদের নাম উল্লেখ করলাম যাতে তোমাদের একটি পোস্টের মধ্যে এই বিষয়টির একটি সম্পূর্ণ ধারনা তৈরি হয়।
তাই তোমরা কোন রকম ভাবনা চিন্তায় সময় নষ্ট না করে মনোযোগ সহকারে পোস্টটি খুব ভালোভাবে পড়ে নাও এবং নিজেকে সঠিক ভাবে এই বিষয়টির সম্পর্কে ধারনা তৈরি করতে পারো।
ভারতের বিচার ব্যবস্থার কাঠামো
বিচার ব্যবস্থা
উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রধান তিনটি স্তর - শাসন বিভাগ, আইনসভা ও বিচারবিভাগ। শাসনবিভাগ থেকে বিচারবিভাগের পৃথকীকরণ এবং ক্ষমতা, এক্তিয়ার ও কর্তৃত্বের নিরিখে আইনসভা ও বিচারবিভাগের স্বতন্ত্র অবস্থান - এই দুটি প্রধান লক্ষ্যকে সম্মুখে রেখে পরিকল্পিত হয়েছে ভারতের বিচারব্যবস্থা।বিচারবিভাগের স্বাধীনতা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে তার প্রয়াস প্রতিবিম্বিত হয়েছে ভারতের বিচারবিভাগের গঠনতন্ত্রে। ভারতের বিচারব্যবস্থার গঠন ও কার্যকারিতা সংক্রান্ত বিষয়গুলি হল নিম্নরূপ -
(ক) মৌলিক অধিকারের রক্ষক রূপে বিচারবিভাগের ভূমিকা।
(খ) বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা।
(গ) বিচারবিভাগীয় পুনর্বিবেচনা (সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের অপসারনের পদ্ধতি)- যেটা রচিত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুসরণে।
ভারতের বিচারব্যবস্থা অখণ্ড বিচারব্যবস্থা অর্থাৎ শাসনবিভাগ যেমন দুটি - কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার এবং আইনসভা যেমন দু'প্রকার - কেন্দ্রীয় আইনসভা ও রাজ্য আইনসভা, বিচারব্যবস্থার গঠন কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য এই দুই প্রেক্ষাপটে দ্বিখণ্ডিত নয়। সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্যের হাইকোর্ট সমূহ, ইউনিয়ন টেরিটরির জুডিশিয়াল কমিশনারের আদালত, সেশন জজকোর্ট, প্রেসিডেন্সি কোর্ট (বড়ো বড়ো শহরে) - অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট থেকে শুরু করে ছোটো - বড়ো সকল আদালতই সেই অখণ্ড বিচার বিভাগের বিভিন্ন অংশ।
সুপ্রিম কোর্ট
■ সংবিধানের ১২৪ (১) ধারা অনুযায়ী বিচারব্যবস্থার শীর্ষে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আরও ২৫জন বিচারপতি থাকেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগের সময় রাষ্ট্রপতি যেমন প্রয়োজন মনে করেন সেইমতো সুপ্রিম কোর্টের এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের সাথে আলোচনা করেন।সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগের সময় রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পরামর্শ মেনে চলতে বাধ্য।
■ সাধারানত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতদের অবসর গ্রহনের বয়স ৬৫ বছর।তাছাড়া অসদাচরনের অভিযোগে সংসদের উপয় কক্ষে উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থনে পাশ হলে রাষ্ট্রপতি কোনো বিচারকের পদচ্যুত করতে পারেন। আজ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারককে পদচ্যুত করা হয়নি।
■ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা কত জন হবে তা নির্ধারণ করার অধিকার কেবলমাত্র সংসদের।
■ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যুনতম যে সমস্ত যোগ্যতা গুলি লাগে সেই গুলি হল নিম্নরূপ--
● ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
● রাষ্ট্রপতির মতানুসারে একজন বিচক্ষণ আইনজ্ঞ হতে হবে [১২৪(৩) নং ধারা]
● তাঁকে কোনো একটি হাইকোর্টের বা পরপর দুটি বা তার বেশি হাইকোর্টে বিচারপতি হিসাবে অন্ততঃ ৫ বছর কাজ করতে হবে।
● ১০ বছর কোনো একটি হাইকোর্ট বা দুটি বা তার বেশি হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট হিসাবে আইনব্যবস্থা করতে হবে।
■ সুপ্রিম কোর্টে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগ করা যায়। আদালতের অধীন মামলাগুলির বিচারকার্য চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় বিচারপতির, তখন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং রাষ্ট্রপতির সম্মতির ভিত্তিতে অস্থায়ী বিচারপতিদের প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য নিয়োগ করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসাবে কাজ করার যোগ্যতাসম্পন্ন হাইকোর্টের বিচারককেই সুপ্রিম কোর্টের অস্থায়ী বিচারক রূপে নিয়োগ করা যায়।
■ প্রধান ধর্মাধিকরণের কার্যক্ষেত্রকে মুলত ৪ ভাগে ভাগ করা যায়, সেই গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল -
(১) মূল এলাকা - এমন অনেক মামলা আছে যেগুলি অন্য কোনো আদালতে উত্থাপন করা যায় না, কেবলমাত্র সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকায় উত্থাপিত হয় এবং নিষ্পত্তি করা হয়, এই গুলি হল -
● কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে এক বা একাধিক রাজ্যের বিরোধ।
● আইনগত অধিকারের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এক বা একাধিক রাজ্যসরকারের বিরোধ বাধলে।
● এক বা একাধিক রাজ্য সরকারের সাথে অন্য এক বা একাধিক রাজ্য সরকারের মতবিরোধ সৃষ্টি হলে।
● রাষ্ট্রপতি অথবা উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিরোধ দেখা দিলে।
মূল এলাকার সিমাবদ্ধতা
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকা ক্ষমতা কখনােই সীমাহীন নয় (১৩১ নং ধারা), অর্থাৎ কিছুটা হলেও সীমাবদ্ধতা লক্ষ করা যায়। যেমন一
● সংবিধান গ্রহণের পূর্বে যেসকল চুক্তি-সন্ধি বা সনদ প্রভৃতি সম্পাদিত হয়েছিল এবং যা আজও কার্যকর আছে সেগুলিকে কেন্দ্র করে কোনােরুপ বিরােধ দেখা দিলে তা সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকায় নিষ্পত্তি হয় না। তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিরােধ উপস্থিত হলে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের কাছে কোনাে পরামর্শ চাইলে সংবিধানের ১৪৩ নং ধারা অনুসারে সুপ্রিমকোর্ট তখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে।
● সুপ্রিমকোর্টের মূল এলাকা বিভিন্ন রাজ্যের অধিবাসীদের মধ্যে অথবা এক বা একাধিক রাজ্যের অধিবাসীদের মধ্যে বিরােধের মীমাংসা করতে পারে না।
(২) আপিল এলাকা - সুপ্রিম কোর্টে ৪ ধরনের আপিল করা যায় -
(ক) ভারতীয় সংবিধানের ব্যাখা সংক্রান্ত আপিল - দেওয়ানি, ফৌজদারি অথবা অন্য কোনো মামলায় হাইকোর্ট যদি প্রমাণপত্র দেয় বা সুপ্রিম কোর্ট যদি মনে করে যে মামলাটির সঙ্গে সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত প্রশ্ন জড়িয়ে আছে, তাহলে সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যায়।
(খ) দেওয়ানি আপিল - কোনো দেওয়ানি দেওয়ানি মামলায় হাইকোর্ট যদি এই মর্মে প্রমানপত্র দেয় যে মামলাটির সঙ্গে আইনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত আছে তাহলে সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যায় ।
(গ) ফৌজদারি আপিল - ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে ৩ ধরনের আপিল করা যায় -
● হাইকোর্ট যদি এই মর্মে প্রমানপত্র দেয় যে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে আপিলযোগ্য সেই ক্ষেত্রে।
● নিম্ন আদালত থেকে কোনো মামলা কে নিজের হাতে তুলে নিয়ে হাইকোর্ট যদি তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সেই ক্ষেত্রে।
● নিম্ন আদালতে নির্দোষ বলে প্রমানিত কোনো ব্যক্তিকে যখন হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড দেয় তখন।
(ঘ) বিশেষ অনুমতির মাধ্যমে আপিল -ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে ভারতের যে- কোনো আদালতের যে কোনো রায়,আদেশ ও দণ্ডের বিরুদ্ধে (সামরিক আদালত ও ট্রাইবুনাল ছাড়া) আপিল করার বিশেষ অনুমতি সুপ্রিম কোর্ট দিতে পারে।
(৩) পরামর্শদানের এলাকা - সংবিধানের ১৪৩ নং ধারা অনুযায়ী আইন সংক্রান্ত প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাইতে পারেন, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যে পরামর্শ প্রদান করবে সেটি অনুসরণ করা রাষ্ট্রপতির জন্য বাধ্যতামুলক নয়।সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ রাষ্ট্রপতি মানতেও পারেন আবার নাও মানতে পারেন এবং রাষ্ট্রপতি পরামর্শ চাইলে তবেই সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দেবে।কোনো বিষয়ে, তা যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন, সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারে না।
(৪)আদেশ,নির্দেশ ও লেখ জারির ক্ষমতা - সুপ্রিম কোর্ট মৌলিক অধিকার গুলি ভঙ্গের ক্ষেত্রে আদেশ,নির্দেশ ও লেখ জারি করে থাকে।ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্ট বন্দী প্রত্যক্ষীকরণ, পরমাদেশ, প্রতিষেধ, অধিকার পৃচ্ছা, উৎপ্রেষণ- এই পাঁচ ধরনের নিরদেশ,আদেশ ও লেখ জারি করতে পারে।
প্রধান বিচারপতির তালিকা
বিচারপতির নাম | কার্যকাল |
---|---|
হরিলাল জেকিসুন্দাস কানিয়া | ২৬শে জানুয়ারি ১৯৫০ – ৬ই নভেম্বর ১৯৫১ |
মন্দাকোলাথুর পতঞ্জলি শাস্ত্রী | ৭ই নভেম্বর ১৯৫১ – ৩রা জানুয়ারি ১৯৫৪ |
মেহর চাঁদ মহাজন | ৪ঠা জানুয়ারি ১৯৫৪ – ২২শে ডিসেম্বর ১৯৫৪ |
বিজন কুমার মুখার্জী | ২৩শে ডিসেম্বর ১৯৫৪ - ৩১শে জানুয়ারি ১৯৫৬ |
সুধী রঞ্জন দাস | ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ – ৩০শে সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ |
ভুবনেশ্বর প্রসাদ সিনহা | ১লা অক্টোবর ১৯৫৯ – ৩১শে জানুয়ারি ১৯৬৪ |
প্রহ্লাদ বালাচার্য্য গজেন্দ্রগদকর | ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪ – ১৫ই মার্চ ১৯৬৬ |
অমল কুমার সরকার | ১৬ই মার্চ ১৯৬৬ – ২৯শে জুন ১৯৬৬ |
কোকা সুব্বা রাও | ৩০শে জুন ১৯৬৬ – ১১ই এপ্রিল ১৯৬৭ |
কৈলাস নাথ ওয়ান্চু | ১২ই এপ্রিল ১৯৬৭ – ২৪শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮ |
মোহাম্মদ হিদয়াতুল্লাহ | ২৫শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮ – ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭০ |
জয়ন্তীলাল ছোটলাল শাহ | ১৭ই ডিসেম্বর ১৯৭০ – ২১শে জানুয়ারি ১৯৭১ |
সার্ভ মিত্র সিক্রি | ২২শে জানুয়ারি ১৯৭১ – ২৫শে এপ্রিল ১৯৭৩ |
অজিত নাথ রায় | ২৬শে এপ্রিল ১৯৭৩ – ২৭শে জানুয়ারি ১৯৭৭ |
মির্জা হামিদুল্লাহ বেগ | ২৯শে জানুয়ারি ১৯৭৭ – ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ |
যশবন্ত বিষ্ণু চন্দ্রচূড় | ২২শে ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ – ১১ই জুলাই ১৯৮৫ |
প্রফুল্লচন্দ্র নটবরলাল ভগবতী | ১২ই জুলাই ১৯৮৫ – ২০শে ডিসেম্বর ১৯৮৬ |
রঘুনন্দন স্বরূপ পাঠক | ২১শে ডিসেম্বর ১৯৮৬ – ১৮ই জুন ১৯৮৯ |
এঙ্গেলাগুপে সিতারামাইয়াহ ভেঙ্কটরামাইয়াহ | ১৯শে জুন ১৯৮৯ – ১৭ই ডিসেম্বর ১৯৮৯ |
সব্যসাচি মুখার্জী | ১৮ই ডিসেম্বর ১৯৮৯ – ২৫শে সেপ্টেম্বর ১৯৯০ |
রঙ্গনাথ মিশ্র | ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৯০ – ২৪শে নভেম্বর ১৯৯১ |
কমল নারায়ণ সিং | ২৫শে নভেম্বর ১৯৯১ – ১২ই ডিসেম্বর ১৯৯১ |
মধুকর হীরালাল কানিয়া | ১৩ই ডিসেম্বর ১৯৯১ – ১৭ই নভেম্বর ১৯৯২ |
ললিত মোহন শর্মা | ১৮ই নভেম্বর ১৯৯২ – ১১ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ |
মানেপল্লী নারায়ণা রাও ভেঙ্কটাচালিয়াহ | ১২ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ – ২৪শে অক্টোবর ১৯৯৪ |
আজিজ মুশাব্বর আহমাদি | ২৫শে অক্টোবর ১৯৯৪ – ২৪শে মার্চ ১৯৯৭ |
জগদীশ শরণ বর্মা | ২৫শে মার্চ ১৯৯৭ – ১৭ই জানুয়ারি ১৯৯৮ |
মদন মোহন পাঞ্চি | ১৮ই জানুয়ারি ১৯৯৮ – ৯ই অক্টোবর ১৯৯৮ |
আদর্শ সেইন আনন্দ | ১০ই অক্টোবর ১৯৯৮ – ৩১শে অক্টোবর ২০০১ |
সাম পিরোজ ভারুচা | ১লা নভেম্বর ২০০১ – ৫ই মে ২০০২ |
ভুপিন্দর নাথ কিরপাল | ৬ই মে ২০০২ – ৭ই নভেম্বর ২০০২ |
গোপাল বল্লভ পট্টনায়েক | ৮ই নভেম্বর ২০০২ – ১৮ই ডিসেম্বর ২০০২ |
বিশ্বেশ্বর নাথ খারে | ১৯শে ডিসেম্বর ২০০২ – ১লা মে ২০০৪ |
এস. রাজেন্দ্র বাবু | ২রা মে ২০০৪ – ৩১শে মে ২০০৪ |
রমেশ চন্দ্র লাহোতি | ১লা জুন ২০০৪ – ৩১শে অক্টোবর ২০০৫ |
যোগেশ কুমার সাভারওয়াল | ১লা নভেম্বর ২০০৫ – ১৩ই জানুয়ারি ২০০৭ |
কনকুপ্পাকাটিল গোপিনাথন বালাকৃষ্ণণ | ১৪ই জানুয়ারি ২০০৭ – ১২ই মে ২০১০ |
সরোশ হোমি কাপাড়িয়া | ১২ই মে ২০১০ – ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১২ |
আলতামাস কবির | ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ – ১৮ই জুলাই ২০১৩ |
পলানিসামী গৌণদের সাথাসিভম | ১৯শে জুলাই ২০১৩ – ২৬শে এপ্রিল ২০১৪ |
রাজেন্দ্র মাল লোধা | ২৭শে এপ্রিল ২০১৪ – ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৪ |
হান্দিয়ালা লক্ষ্মীনারায়ণস্বামী দাত্তু | ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৪ – ২রা ডিসেম্বর ২০১৫ |
তীরথ সিং ঠাকুর | ৩রা ডিসেম্বর ২০১৫ – ৩রা জানুয়ারি ২০১৭ |
জগদীশ সিং খেহার | ৪ঠা জানুয়ারি ২০১৭ – ২৭শে আগস্ট ২০১৭ |
দীপক মিশ্র | ২৮শে আগস্ট ২০১৭ – ২রা অক্টোবর ২০১৮ |
রঞ্জন গগৈ | ৩রা অক্টোবর ২০১৮ – ১৭ই নভেম্বর ২০১৯ |
শরদ অরবিন্দ বোব্দে | ১৮ই নভেম্বর ২০১৯ – ২৩শে এপ্রিল ২০২১ |
নুথলাপতি ভেঙ্কটরমন | ২৪শে এপ্রিল ২০২১ – বর্তমান |
ইয়ু.ইয়ু.ললিত | ২৭শে আগস্ট ২০২২ - ৮ই নভেম্বর ২০২২ |
ডি.ওয়াই.চন্দ্রচূড় | ৯ই নভেম্বর ২০২২ - ১০ই নভেম্বর ২০২৪ |
সঞ্জীব খান্না | ১১ই নভেম্বর ২০২৪ ➺ ১৩ই মে ২০২৫ |
হাইকোর্ট
■ বর্তমানে ভারতে মোট ২৫ টি হাইকোর্ট আছে। ভারতে ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ২৮ টি অঙ্গরাজ্যের প্রত্যেকটি কোনো না কোনো হাইকোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত।বেশ কিছু হাইকোর্টের অধীনে একাধিক রাজ্য আছে (যেমন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা - এই দুটি রাজ্য এবং চণ্ডীগড় নামক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি একই হাইকোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত)।কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে একমাত্র দিল্লীরই নিজস্ব হাইকোর্ট আছে। হাইকোর্ট রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত এবং দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আদালত।
■ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং অন্য বিচারপতিদের শপতবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরগ্রহণের বয়স ৬২ বছর।অবসরগ্রহণের আগেই হাইকোর্টের বিচারপতিদের পদচ্যুত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি, সংসদের সুপারিশে।
■ হাইকোর্টে একজন প্রধান বিচারপতি থাকেন। প্রধান বিচারপতি ছাড়া হাইকোর্টের আর কতজন বিচারপতি থাকবেন সেই সংখ্যাটি প্রত্যেকটি হাইকোর্টের ক্ষেত্রে আলাদা এবং এই সংখ্যাটি রাষ্ট্রপতি নির্ধারণ করেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপালের সাথে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করেন।প্রধান বিচারপতি ছাড়া হাইকোর্টের অন্য বিচারপতিদের নিয়োগের সময় রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করেন।
__________________
আজকে আমরা এক খুবি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানলাম।আপনাদের পোস্টটি কেমন লাগলো আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন।ধন্যবাদ, আপনার দিনটি শুভ হোক।
No comments:
Post a Comment