Breaking




Tuesday, 30 August 2022

পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নমূলক প্রকল্প সমূহ

পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নমূলক প্রকল্প সমূহ

পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নমূলক প্রকল্প সমূহ
পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নমূলক প্রকল্প সমূহ
বন্ধুগন,
আজকে আমরা জানবো এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে । আমরা আজকে জানবো পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প সম্পর্কে।যা আমাদের সাধারন জ্ঞান এর পাশাপাশি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।তো আসুন বেশি সময় নষ্ট না করে মূল বিষয়ে আশাযাক .........
 সবুজশ্রী প্রকল্প  
প্রকল্পের নাম :: সবুজশ্রী

 প্রকল্পের সূচনা কাল :: মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ -এর ১৯ শে ডিসেম্বর প্রকল্পটির সূচনা করেন। 

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুকে জন্মগ্রহনের পরই একটি মুল্যবান গাছের চারা দেওয়া হবে।ওই চারটি শিশুর নামে লাগাতে হবে এবং শিশুটিকে যে ভাবে সযত্নে লালনপালন করা হয় সেই ভাবেরই চারা গাছটিকেও বড়ো করতে হবে।পরবর্তীকালে গাছটি বড়ো হয়ে যাবার পর শিশুর আর্থিক প্রয়োজনে ব্যাবহার করা যাবে।এর ফলে শিশুটির ভবিষ্যতের আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি গাছটি 'জীবজগৎ'- কেও এতগুলো বছর অনেক কিছু দেবে। 

 প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগের নাম :: বন দপ্তর

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: প্রতিটি শিশু জন্মানোর পর বনদপ্তর থেকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই চারা গাছটি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

 প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবেন :: রাজ্যের নবজাতকেরা।

 খাদ্য সাথী প্রকল্প  

 প্রকল্পের নাম :: খাদ্য সাথী

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: সুলভ মুল্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করে খাদ্য অ পুষ্টির নিরাপত্তা দেওয়াই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ উদ্যোগ  অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গের ৮ কোটি ৬৬ লক্ষ মানুষ অর্থাৎ ৯০.৬ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় এসেছেন। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার মাধ্যমে অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা, অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত পরিবার, বিশেষ অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত পরিবার ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১ এর তালিকাভুক্ত পরিবারের সমস্ত মানুষের কাছে রাজ্য সরকার ২ টাকা কেজি দরে খাদ্যশস্য পৌঁছে দিচ্ছে । স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পুষ্টি -পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন শিশু ,মা ও তাদের পরিবারের জন্য মাসে ৫ কিলোগ্রাম চাল , ২.৫ গম , ১ কিলোগ্রাম মুসুর ডাল ও ১ কিলোগ্রাম ছোলা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে ' বিশেষ কুপন' চালু করে। 

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: প্রতিটি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের করন ও খাদ্য পরিদর্শক।পৌরসভার ক্ষেত্রে মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের করন । এছাড়া খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের শুল্কমুক্ত ফোন নং ১৯৬৭ ও ১৮০০-৩৪৫-৫৫০৫ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

  সুফল বাংলা  

 প্রকল্পের নাম :: সুফল বাংলা

 প্রকল্পের সূচনা কাল :: ২০১৪ -এর ২৯শে সেপ্টেম্বর মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প চালু করেন।

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: চাষিদের কাছ থেকে লাভজনক দামে সরাসরি কৃষিজ পণ্য সংগ্রহ করে,যুক্তিযুক্ত দামে, তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় চলমান অথবা স্থায়ী বিপণন কেন্দ্রের মাধ্যমে। এইসব ‘সুফল বাংলা’ বিপণিতে এক ছাদের তলায় সবজি,ফল, মাংস, দুধ, মাংস এবং দুধজাত দ্রব্য, চাল, ডাল, সব ধরনের সুগন্ধি চাল পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত ৪০টি বিপণি খোলা হয়েছে। সিঙ্গুর তাপসী মালিক কৃষক বাজার এই প্রকল্পের মুখ্য কেন্দ্র। প্রকল্পের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন কৃষিপণ্য ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য প্রচার করা হয়।

 প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগেরে নাম :: কৃষি বিপণন দপ্তর।

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: কৃষিজ বিপণন দপ্তরের প্রকল্প ব্যবস্থাপন ইউনিট (PMU) এই প্রকল্প পরিচালনা করে। উল্টোডাঙার উত্তরাপণে প্রকল্পের প্রধান কার্যালয়ে অথবা জেলা ও মহকুমার সংশ্লিষ্ট কৃষি বিপণন বিভাগের দপ্তরে যোগাযোজগাজ পারেন। 

 প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবে :: ফসল বিক্রির জন্য ব্যক্তি-কৃষক এবং কৃষক দল নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন এবং নিবন্ধীকৃত ফার্মার্সপ্রোডিউসারস কোম্পানি লিমিটেডগুলি বিপণি পরিচালনার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

  গীতাঞ্জলী প্রকল্প  

 প্রকল্পের নাম :: গীতাঞ্জলী

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: প্রত্যেকের সুনিশ্চিত আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। সুস্থ জীবনযাপনের অন্যতম শর্তই হল নিজের একটি বাড়ি। যে কোনও মানুষের কাছে এটি একটি স্বপ্ন। কেউ নিজের চেষ্টায় ও সামর্থ্যে এই স্বপ্নপূরণ করতে পারেন। কেউ বা বংশপরম্পরায় স্বপ্নই দেখে যেতেন এতদিন। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মাধ্অউলি নেকের জীবনেই এই মৌলিক চাহিদার স্বপ্ন পূরণ হয়ে চলেছে। এরকমই একটি স্বপ্নপূরণ- এর প্রকল্প—গীতাঞ্জলি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার। গ্রামীণ এলাকা তো বটেই, শহরতলিজ মানুষ—যাদের নির্দিষ্ট ঘরবাড়ি নেই, তাদেরও মাথার ওপর ছাদ করে দিচ্ছে আবাসন দপ্তর। শুধুনিজের জমিটুকু থাকতে হবে এবং তাতে যেন আইনি জটিলতা না থাকে। রাজ্য সরকার, এই প্রকল্পে, প্রতি বাড়ি তৈরির জন্য সমতল এলাকায় ৭০ হাজার টাকা এবং দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে ও সুন্দরবন এলাকায় ৭৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। জেলাশাসকের মাধ্যমে প্রথমে ৭০ শতাংশ এবং পরে ৩০ শতাংশ সুবিধাপ্রাপকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা পড়ে যাচ্ছে।

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: জেলাস্তরে প্রত্যেক মহকুমা শাসক (এসডিও) এবং ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)-এর অফিসে যোগাযোগ করা যাবে। প্রতি জেলার জেলাশাসক এবং একজন অতিরিক্ত জেলাশাসক (এডিএম) পুরো প্রকল্পের তদারকি করছেন।

 প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবেন ::গৃহহীন অথচ জমি আছে এমন ব্যক্তি যার মাসিক আয় ৬০০০ টাকা বা তার কম তিনি যোগাযোগ করতে পারেন । এককথায়, রাজ্যের প্রত্যেক দরিদ্র মানুষ, বিশেষ করে বন্যা বা নদী ভাঙনে যাদের ছাদ ভেসে গিয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে।

  কন্যাশ্রী প্রকল্প  

 প্রকল্পের নাম :: কন্যাশ্রী 

 প্রকল্পের সূচনা কাল :: ২০১৩ সালের ১লা অক্টোবর মাননীয়া মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প চালু করেন।

 প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগ :: শিশু ও নারী উন্নয়ন এবং সমাজকল্যান দপ্তর।

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: কন্যাশ্রী একটি আর্থিক উৎসাহদান প্রকল্প। কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা হয় মূলত কন্যা সন্তানদের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে। দরিদ্র মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া ও উচ্চশিক্ষায় ধরে রাখাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অবিবাহিতা ছাত্রীদের ( ১৩ থেকে ১৯–এর মধ্যে বয়স) আর্থিক সহায়তা করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দু-ধরনের আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়। বার্ষিক ৭৫০ টাকা বৃত্তি (K1) এবং ২৫,০০০ টাকার এককালীন অনুদান (K2)। উচ্চমাধ্যমিকের পরও কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুিবধা চালুরাখার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। নারীশিক্ষার উন্নয়নে নতুন দিশা কন্যাশ্রী প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই প্রকল্প চালু হয় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর তারিখে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র কন্যাশিশুদের শিক্ষায় উৎসাহিত করা হয়। ‘কন্যাশ্রী’ ভাতাপ্রাপ্ত ছাত্রীরা একটি নিজস্ব পরিচয়ে বেড়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে।তাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-এ টাকা সরাসরি জমা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়নে অনেকগুলি যুগান্তকারী প্রকল্প চালু করেছেন। তার স্বপ্নের প্রকল্পগুলির মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পটি অন্যতম। এই প্রকল্পের নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। লোগোটিও তিনিই ডিজাইন করেছেন। ১৮ বছর পর্যন্ত মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক গঠন চলতে থাকে। ভবিষ্যতে যাতে তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে তাই তাদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে এই সময়ই উপযুক্ত।

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: বিদ্যালয় বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

 প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবেন :: সরকারস্বীকৃত নিয়মিত বা সমতুল মুক্ত বিদ্যালয়ে বা সমতুল বৃত্তিমূলক/কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠরতা কেবলমাত্র অবিবাহিতা মেয়েরাই আবেদন করতে পারবে। বার্ষিক ভাতার জন্য K-1 ফর্মে এবং এককালীন অনুদানের জন্য K-2 ফর্মে আবেদন করতে হবে। দুই ক্ষেত্রেই আবেদনকারীর পারিবারিক বার্ষিক আয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে থাকতে হবে এবং আবেদনকারীকে যে কোনও রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে এই প্রকল্পের জন্য একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বার্ষিক ৭৫০ টাকা হারে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বয়স হতে হবে ১৩ থেকে ১৮ বছর। এককালীন ২৫,০০০ টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যালয়, কলেজ বা বৃত্তিমূলক/কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠরতা অবিবাহিতা মেয়েদের, আবেদন করার সময় যাঁদের বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং ১৯ বছরের কম।

  শিক্ষাশ্রী প্রকল্প  

 প্রকল্পের নাম :: শিক্ষাশ্রী

 প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগ :: অনগ্রসর শ্রেণী কল্যান দপ্তর এবং আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর।

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: পিছিয়ে-থাকা-পরিবারের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য বার্ষিক বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে এই প্রকল্পে। অতি দরিদ্র প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। একদিকে খাদ্যের ব্যবস্থা, অন্যদিকে পড়াশোনা। ফলে শিক্ষাশ্রী, আজ রাজ্যের প্রতিটি তপশিলি জাতি ও তপশিলি আদিবাসী পরিবারের কাছে মুক্তির আলো এনে দিয়েছে। সরকারের অর্থেনিজের ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে দাঁড়াবে, সমাজের মূল স্রোতে মিশবে—একজন তপশিলি জাতি বা তপশিলি আদিবাসী বাবা-মায়ের কাছে এটাই অনেক বড়ো পাওনা। আর তাদের এই ইচ্ছে পূরণ করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তপশিলি জাতির ক্ষেত্রে পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য বার্ষিক ৭৫০ টাকা হারে ও অষ্টম শ্রেণির জন্য বার্ষিক ৮০০ টাকা হারে এবং তপশিলি আদিবাসীর ক্ষেত্রে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য বার্ষিক ৮০০ টাকা হারে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্রগুলি খতিয়ে দেখে ছাত্রছাত্রীদের সামগ্রিক তথ্য একসঙ্গে নিয়ে তা ব্লক/ মহকুমা শাসকের অফিসের মাধ্যমে জেলায় প্রকল্প আধিকারিকের কাছে পাঠাবেন অর্থ বরাদ্দ করার জন্য। শিক্ষাশ্রীর অর্থ সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়।

 প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবেন :: পরিবারের সারা বছরের আয় ২.৫ লক্ষ টাকা বা তার কম হতে হবে। ছেলে বা মেয়েকে তপশিলি জাতি বা তপশিলি আদিবাসী হতে হবে এবং কোনও সরকারস্বীকৃত স্কুলে পড়াশোনা করতে হবে। আবেদন করতে হবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে। টাকা পাওয়ার জন্য ব্যাংকে ছাত্রছাত্রীদের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। ওই অ্যাকাউন্ট খোলবার ব্যবস্থাও রাজ্য সরকার করে দিয়েছে। সাংসদ, বিধায়ক, পুরপিতা, পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদ সদস্য, সভাপতি অথবা সরকারি আধিকারিককে দিয়ে বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র-সহ আবেদনপত্র বিদ্যালয়ে জমা করতে হবে।

 সবুজসাথী প্রকল্প 

 প্রকল্পের নাম :: সবুজসাথী 

 প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগ :: অনগ্রসর শ্রেণী কল্যান দপ্তর।

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল বিতরণের একটি প্রকল্প ‘সবুজসাথী’। ২০১৫–১৬ অর্থবর্ষের বাজেট বিবৃতি দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রাজ্যের সরকারি, সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া হবে। এই প্রকল্পই এখন ‘সবুজসাথী’ নামে পরিচিত। নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এই প্রকল্পে ৭০ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা যেন ভবিষ্যতে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা অর্জন করতে পারে সেই উচ্চাশা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্প। প্রকল্পের লোগোটিও তিনিই এঁকেছেন। সাইকেলের সামনের ঝুড়ির সঙ্গে লোগোটি সংযুক্ত করা হয়েছে। ২০১৫ সালে সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাইকেল বিতরণ শুরু করেন। ছাত্রছাত্রীদের, প্রধানত ছাত্রীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি, এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে স্কুল -ছুট (Drop outs)-এর হার কমানোই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: বিদ্যালয়ের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

 প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবেন :: রাজ্যের  সরকারি, সরকার পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী।

  যুবশ্রী প্রকল্প  

 প্রকল্পের নাম :: যুবশ্রী 

 প্রকল্পের সূচনা কাল :: ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে যুবশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন। 

 প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগ :: শ্রম বিভাগ

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: ‘যুবশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের শ্রম দপ্তরের অধীন এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক-এ নথিবদ্ধ অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী যুবক-যুবতীরা মাসে ১৫০০ টাকা হারে ভাতা পান। এই প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা ২.২ লক্ষ। নথিভুক্ত যুবক-যুবতীরা যাতে নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারেন বা তাঁদের শিক্ষা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীন ভাতা-প্রাপকদের প্রতি ৬ মাস অন্তর তাদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য এবং তিনি এখনও প্রকল্পের সমস্ত যোগ্যতাবলির অধিকারী কিনা সেই সংক্রান্ত একটি স্ব-ঘোষণা জমা করতে হয়। এই প্রকল্পের সহায়তা নিয়ে যাঁরা চাকরি পাবেন বা স্বনির্ভর হবেন তাঁরা আর এই আর্থিক সহায়তা পাবেন না। পরিবর্তে নতুন চাকরিপ্রার্থীরা পর্যায়ক্রমিকভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: স্থানীয় এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে নাম নথিভুক্ত করা যাবে।বর্তমানে অন-লাইনে প্রার্থীরা নিজেরাই ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।

 প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবেন:: ‘চাকরিপ্রার্থী’ হিসেবে রাজ্যের শ্রম দপ্তরের এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক-এ নাম নথিভুক্ত করানো এই রাজ্যে বসবাসকারী বেকার যুবক-যুবতীরা এই সুযোগ পাবেন। ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে। এর বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতাও থাকতে পারে। যে বছর প্রার্থী এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন সেই বছরের ১ এপ্রিল তাঁর বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের (স্পনসর্ড) কোনও স্বনিযুক্তি প্রকল্পের অধীন কোনও আর্থিক সহায়তা বা ঋণ গ্রহণ করেননি এমন যুবক-যুবতীরাই আবেদন করতে পারবেন। একটি পরিবারের মাত্র একজন সদস্যই এই প্রকল্পের আর্থিক সহায়তার সুবিধা পেতে পারেন।

  স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প  

 প্রকল্পের নাম :: স্বাস্থ্য সাথী 

 প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগ :: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান বিভাগ। 

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: উন্নতমানের আধুনিক স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রত্যেক প্রান্তিক মানুষের দরজায় পৌঁছে দেওয়া। এবং সেটি স্বচ্ছতা ও আধুনিকতার পাশাপাশি অত্যাধুনিক ই-প্রযুক্তি ব্যবহার করে। রাজ্যের কয়েক লাখ আইসিডিএস কর্মী, আশা কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, হোমগার্ড, গ্রিন পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মী, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সকল সদস্য, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী, অর্থ দপ্তরের অনুমতিক্রমে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মুখে আজ হাসির ঝিলিক। অন্যান্য স্মার্ট কার্ডের মতো এই কার্ডনিয়ে সমস্ত সরকারি হাসপাতাল-সহ ৭০০-র বেশি বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হবে। ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ওই কার্ডধারীর পরিবারের যে কেউ, বছরে চিকিৎসা পাবেন, ক্যাশলেস হিসেবে। বিশেষ জটিল রোগের ক্ষেত্রে ৩.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার আওতায় থেকে চিকিৎসা করা যাবে। এই স্বাস্থ্য বিমার আওতায় ১৯০০-র বেশি ধরনের রোগের চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছে সরকার। হাসপাতালে থাকাকালীন সমস্ত চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ, খাবার দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। এছাড়া যাতায়াত ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা এবং ভর্তির একদিন আগে ও ছাড়া পাওয়ার পরের ৫ দিনের ওষুধও বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: প্রতি জেলায় ব্লকস্তরে বিডিও অফিস, শহর ও শহরতলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুরসভা এবং অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা চালু থাকা টোল-ফ্রি নম্বর - ১৮০০-৩৪৫-৫৩৮৪।

 প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবেন :: সিভিক ভলান্টিয়ার্স, গ্রিন ভলান্টিয়ার্স, ভিলেজ ভলান্টিয়ার্স, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার্স, বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মী, জাতীয় স্বেচ্ছাসেব বল (এনভিএফ), হোমগার্ড, আইসিডিএস কর্মী ও সহকারী, পঞ্চায়েত ও গ্রামউন্নয়ন দপ্তরের স্বনির্ভর গোষ্ঠী, পঞ্চায়েতিরাজ ইনস্টিটিউটের চুক্তিভিত্তিক ও ঠিকা-শ্রমিক, পুর এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠী, আশা কর্মী, অনারারি হেলথ ওয়ার্কার্স, অর্থদপ্তরের অধীনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চুক্তিভিত্তিক ও ঠিকা-শ্রমিকেরা আবেদন করবেন। স্বামী/স্ত্রী, তাঁদের ওপর নির্ভরশীল পিতামাতা ও শ্বশুর-শাশুড়ি এবং ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়ে প্রত্যেকে এই স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবেন। এছাড়াও ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সকল সদস্য ও তাঁদের পরিবার এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

  শিশুসাথী প্রকল্প   

 প্রকল্পের নাম :: শিশুসাথী

 প্রকল্পের সূচনা কাল :: মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে এই প্রকল্প চালু করেন।

 প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগ :: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান বিভাগ। 

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই রাজ্যের শিশুস্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে চিন্তাশীল। এরই ফলশ্রুতিতে কমেছে শিশুমৃত্যু হার। রাজ্যের প্রতিটি শিশুর সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য তিনি একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন। এই উদ্যোগেই নতুন সংযোজন শিশুসাথী প্রকল্প। এই প্রকল্পের নামও দিয়েছেন নিজে। ২০১৩সালের আগস্ট মাসে পথ চলতে শুরু করেছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প।

জন্মের পর কি শিশুর হার্টের সমস্যা ধরা পড়েছে ? হার্টে ফুটো, কোনও ভালভ ঠিকমতো তৈরি না হওয়া, হার্টেরক্ত চলাচলে সমস্যা ইত্যাদি যে কোনও রোগ অর্থাৎ চিকিৎসক কি কনজেনিটাল কার্ডিয়াক ডিফেক্ট (Congenital Cardiac Defect) জাতীয় কিছু বলেছেন? একদম চিন্তা না করে চলে আসা যাবে কলকাতার ২টি সরকারি এবং ৬টি বেসরকারি হাসপাতালের যে কোনওটিতে। তবে সেটি অবশ্যই জেলার বা ব্লকস্তরে মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের মাধ্যমে, সরাসরি নয়।

১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ওই শিশুর হার্টের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। শুধু তাই নয়, শিশু-সহ বাড়ির একজনের থাকা, সমস্ত ধরনের জটিল অস্ত্রোপচারের সব দায়িত্বই রাজ্য সরকারের। হার্টের বিভিন্ন জটিল সমস্যার চিকিৎসা বিনামূল্যে করিয়ে বাবা-মা, শিশুকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন।

 সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ছাড়াও বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরিষেবা পাওয়া যায়।

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: কলকাতার এসএসকেএম (পিজি হাসপাতাল) এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, জেলায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অর্থাৎ CMOH এবং ব্লকস্তরে BMOH-এর কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

 প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবেন :: এককথায় ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত রাজ্যের যে কোনও শিশু।এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী, শিশুর পরিবারের আয়ের কথা মাথায় রাখতে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ, পরিবারের যত কম বা যত বেশি আয়-ই হোক, এপিএল বা বিপিএল—তা হিসেবের মধ্যে ধরা হবে না। শিশুটি রাজ্যের, এটাই শেষ কথা।

 সমব্যাথী প্রকল্প  

 প্রকল্পের নাম :: সমব্যাথী

 প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগ ::পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামউন্নয়ন দপ্তর।

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: পরিবারের অতি আপনজন, নিকটাত্মীয় কিংবা পাড়ায় দীর্ঘদিনের পরিচিত প্রতিবেশীর মৃত্যু ঘটেছে। শোকাতুর পরিবার। পাড়ায়, গ্রামে, মহল্লায় শোকের ছায়া। একই সঙ্গে আরও একটি চিন্তা পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম বা কবর দেওয়ার খরচ কী করে জোগাড় হবে। পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার।

এই প্রকল্পের দ্বারা দুস্থ পরিবারের কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পর পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম, মৃতদেহের সৎকার, কবরস্থ বা অন্যান্য প্রচলিত রীতিনীতি পালন করার জন্য মৃতের খুব কাছের কোনও আত্মীয়কে এককালীন ২ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, দুস্থ মানুষের মৃত্যুতে ও সমব্যথী রাজ্য সরকার।

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস আর পৌর এলাকায় পৌরসভার অফিসের মাধ্যমে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। শ্মশান/কবরস্থানে পরিষ্কার সাদা কাগজে মৃত্যুর প্রমাণপত্র-সহ আবেদন করলে এই অনুদান নগদে পাওয়া যাচ্ছে। নিকটাত্মীয় না থাকলে নিকট প্রতিবেশীও আবেদন করতে পারবেন।

 প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবেন :: কারা আবেদন করতে পারবেন : মৃতের পরিবারকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং আর্থিকভাবে দুর্বল বা দুস্থ হতে হবে। মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য অর্থাৎ দাহ বা কবরের কাজ পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে করতে হবে। মৃতের পরিবারের সদস্য বা নিকট প্রতিবেশীকে মৃত্যুর প্রমাণের সমস্ত কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।

   মুক্তধারা প্রকল্প   

 প্রকল্পের নাম :: মুক্তধারা 

 প্রকল্পের সূচনা কাল :: ২০১৩ সালের ৭ই মার্চ পুরুলিয়ায় এই প্রকল্পের সূচনা করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

 প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগ :: স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দপ্তর ।

 প্রকল্পের উদ্দেশ্য :: দরিদ্র্য থেকে মুক্তি, উন্নয়নের ডানায় ভর করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা, দলগতভাবে দারিদ্র্যের মোকাবিলা করা এবং স্থায়ী উন্নয়নের পথে হাঁটা—এইভাবেই ‘মুক্তিধারা’ বাংলার প্রান্তিক জীবনে পরিবর্তন আনছে।

রাজ্য সরকার এবং নাবার্ডের আর্থিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণে ‘মুক্তিধারা’ পুরুলিয়াতে শুরু হয়েছিল। বর্তমানে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ভাবে প্রকল্পটি রূপায়ণ করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করে বহুমুখী পরিকল্পনায় উন্নয়নের কাজ চলছে। গ্রামবাংলার চিরাচরিত পেশাগুলিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রশিক্ষিত করে তাঁদের জীবন-জীবিকার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। ২০১৩-র ৭ মার্চস্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি দপ্তরের মাধ্যমে ‘মুক্তিধারা’ প্রকল্পটি পরীক্ষামূলকভাবে পুরুলিয়ায় শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বলরামপুর এবং পুরুলিয়া-১-এর ১৩৯টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। রাজ্যের নানা জেলায় ‘পুরুলিয়া মডেল’ চালু করা হয়েছে। পুরুলিয়াতে এই প্রকল্প সফল হওয়ায় প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রকল্পটি চালু হয় এবং বর্তমানে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪-পরগনা, দক্ষিণ ২৪-পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানেও ‘মুক্তিধারা’ চালু হতে চলেছে।

 কোথায় যোগাযোগ করবেন :: এই প্রকল্পের জন্য জেলাস্তরে জেলা প্রশাসনিক টিম তৈরি করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন পদাধিকারীর সঙ্গে উন্নয়নের সঙ্গে মূল ধারায় যুক্ত সরকারি বিভাগগুলি, যেগুলিকে লাইন ডিপার্টমেন্ট বলে, সেগুলিকেও যুক্ত করা হয়েছে। জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি আধিকারিক, ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সুপার ভাইজার–এর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। পশ্চিমবঙ্গ স্বনির্ভর নিগম লিমিটেড (WBSCL) এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে।

 প্রকল্পের সুযোগ কারা পাবেন :: রাজ্যের যে জেলাগুলিতে এই প্রকল্প চলছে সেইসব জেলার দরিদ্র মানুষজন স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পূর্ব গঠিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য যাঁরা কোনও সরকারি প্রশিক্ষণ পাননি, তাঁরাও এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন।


আজকে আমরা জানলাম পশ্চিমবঙ্গের কিছু  উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক প্রকল্প সম্পর্কে।আশাকরছি আপনারা খুব সহজ এবং সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যদি আপনাদের কোনো মতামত জাননোর থাকে অবশ্যই জানাবেন।আর আই রকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট গুলি সবার আগে পেতে সাইটের উপরের দেওয়া টেলিগ্রাম এবং Whatsapp লিঙ্কে ক্লিক করে জয়েন হরে যান।ধন্যবাদ,তোমার দিনটি শুভ হোক।

No comments:

Post a Comment